নেপালে জেন-জি নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে সহিংসতা চরমে উঠেছে। রাজধানী কাঠমান্ডু ও আশপাশের এলাকায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভকারীরা অন্তত তিন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। কাঠমান্ডুভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খবরহাব এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোটেশ্বর এলাকায় দায়িত্বে থাকা ওই তিন পুলিশ সদস্য আত্মসমর্পণ করার পরও বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের হত্যা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা প্রথমে পুলিশ বিভাগের কার্যালয়ে আগুন দেয়, এরপর কর্মকর্তাদের টেনে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
নেপাল পুলিশের সদরদপ্তর ঘটনাটি নিশ্চিত করে একে ‘বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যা দিয়েছে এবং বলেছে, এ ঘটনা রাজধানীর নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতিকে আরও স্পষ্ট করেছে।
বিক্ষোভকারীরা সদরদপ্তরে হামলার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়।
এর আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি ও প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল পদত্যাগ করলেও দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
নেপাল সরকার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে নিবন্ধিত না হওয়ায় নিষিদ্ধ করেছিল। এই সিদ্ধান্ত তরুণদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে, যারা আগে থেকেই দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে সরকারবিরোধী ক্ষোভে ফুঁসছিল। এরইমধ্যে বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জনের নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে তিন শতাধিক মানুষ।
এদিকে নাগরিক সমাজের বিভিন্ন নেতা স্বাধীন যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের প্রতি শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, তবে উত্তেজনা এখনো বিরাজ করছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন