বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০৮:৫৪ এএম

নেপালে নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিল সেনাবাহিনী

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০৮:৫৪ এএম

নেপাল সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য। ছবি- সংগৃহীত

নেপাল সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্য। ছবি- সংগৃহীত

নেপালে দিনভর সহিংস সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও বহু হতাহতের পর মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী। সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ‘নেপাল সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের স্বার্থ ও নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় অঙ্গীকার করছি। যুব সমাজ ও দেশবাসীকে শান্ত থাকার, সামাজিক সম্প্রীতি ও জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি যাতে পরিস্থিতি আর অবনতির দিকে না যায়।’

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে ভিডিওবার্তা দিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল। ২ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের এই ভিডিওবার্তায় তিনি নাগরিকদের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান। এ ছাড়া সব পক্ষকে সংলাপের পথে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেন।

প্রতিবাদ কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বর্তমান এই কঠিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা এবং জাতির সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষা সবার সম্মিলিত দায়িত্ব। তাই আমি প্রতিবাদ কর্মসূচি স্থগিত করার অনুরোধ জানাচ্ছি এবং সব পক্ষকে সংলাপের পথে এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করছি।’

জাতীয় ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে সিগদেল বলেন, ‘শান্তি, নিরাপত্তা এবং দেশের অখণ্ডতা রক্ষা করা সব নেপালি নাগরিকের সম্মিলিত দায়িত্ব। ইতিহাস সাক্ষী, নেপাল সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় ঐক্য এবং জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এদিকে, সেনাবাহিনীর জনসংযোগ অধিদপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নেপাল সেনাবাহিনী সবসময় নেপাল ও এর জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমান পরিস্থিতিতে জীবন ও সম্পদ রক্ষায় আমরা সম্পূর্ণভাবে নিবেদিত।’

এতে আরও বলা হয়, ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। চলমান অস্থিরতার মধ্যে সংযম প্রদর্শন করে সামাজিক সম্প্রীতি ও জাতীয় ঐক্য অটুট রাখার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এর আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি ও প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল পদত্যাগ করলেও দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে।

নেপাল সরকার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে নিবন্ধিত না হওয়ায় নিষিদ্ধ করেছিল। এই সিদ্ধান্ত তরুণদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে, যারা আগে থেকেই দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে সরকারবিরোধী ক্ষোভে ফুঁসছিল। এরইমধ্যে বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জনের নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে তিন শতাধিক মানুষ।

Link copied!