শনিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫, ০৬:২১ পিএম

সীমান্তে ‘আয়রন ডোম’র আদলে আকাশ প্রতিরক্ষা বসাচ্ছে ভারত

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫, ০৬:২১ পিএম

একে-৬৩০ আকাশ প্রতিরক্ষা। ছবি- সংগৃহীত

একে-৬৩০ আকাশ প্রতিরক্ষা। ছবি- সংগৃহীত

সীমান্ত সুরক্ষায় একে-৬৩০ আকাশ প্রতিরক্ষা বন্দুক কিনতে যাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি ইসরায়েলের আধুনিক ‘আয়রন ডোম’-এর আদলে তৈরি। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান অ্যাডভান্সড ওয়েপন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড (এডব্লিউইআইএল) থেকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি কিনতে দরপত্র জারি করেছে। এটি মিশন ‘সুদর্শন চক্র’-র আওয়াভুক্ত, যা উচ্চাভিলাষী জাতীয় নিরাপত্তা উদ্যোগ।

প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যম এএনআই-কে জানান, দরপত্রটি ছয়টি একে-৬৩০ এয়ার ডিফেন্স গান সিস্টেম কেনার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এই সিস্টেমটি ৩০ মিমি মাল্টি-ব্যারেল মোবাইল এয়ার ডিফেন্স গান। গুলির হার প্রতি মিনিটে সর্বোচ্চ ৩৩০০ রাউন্ড পর্যন্ত। কার্যকর পরিসর এলাকা প্রায় ৪ কিলোমিটার।

এই সিস্টেমটি একটি ট্রেলারে স্থাপন করে উচ্চ গতির যানবাহন দ্বারা টানা হবে। লক্ষ্য সনাক্তকরণ ও আঘাতক সক্ষমতার জন্য এতে থাকবে সার্ব-আবহাওয়ায় কাজ করা ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম।

তাদের মতে, সিস্টেমটি মানবহীন বিমান (ড্রোন), রকেট, কামান ও মর্টার থেকে আসা হুমকি প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হবে। দ্রুত লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত ও আঘাত করার সক্ষমতার জন্য এতে থাকবে সার্ব-আবহাওয়ায় কাজ করা ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম। এটি পাকিস্তান সীমান্তে গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সুরক্ষা জোরদারে মোতায়েন করা হবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মে মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির কয়েকদিন পরই ভারতীয় সেনাবাহিনী একে-৬৩০-এর অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা চালায়। প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা যায়, ওই পরীক্ষায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে এবং আকাশে লক্ষ্যবস্তুকে সফলভাবে সনাক্ত করেছে। তবে পরীক্ষায় কিছু উন্নতির ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়।

চার দিনের সীমান্ত যুদ্ধে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, গুজরাট এবং রাজস্থানসহ বিভিন্ন স্থানে বেসামরিক নাগরিক ও ধর্মীয় ভবনগুলোতে সরাসরি আঘাত হানে ভারতীয় বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনী। প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, ওই যুদ্ধে বিমান প্রতিরক্ষা বহু ক্ষেত্রেই আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছিল। তবে পাকিস্তানের দাবি ঠিক উল্টো।

মিশন ‘সুদর্শন চক্র’-কে ইসরায়েলের আধুনিক ‘আয়রন ডোম’-এর আদলে তৈরি বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। সরকারি বর্ণনায়, এটি ২০৩৫ সালের মধ্যে নজরদারি, সাইবার নিরাপত্তা ও বিমান প্রতিরক্ষা একত্র করে একটি ব্যাপক, বহু-স্তরীয় দেশীয় সুরক্ষা ঢাল গড়ার পরিকল্পনার অংশ। এই মিশনের লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে দেশীয় সক্ষমতা বাড়ানো এবং একই সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষাত্মক বাধা ও সম্ভাব্য আক্রমণাত্মক সক্ষমতা গড়ে তোলা।

সরকারি বিবরণে বলা হয়েছে, কেনা সিস্টেমগুলো কেবল প্রতিরক্ষামূলক নয়; প্রয়োজনে এগুলো আংশিকভাবে আক্রমণাত্মক সক্ষমতাও প্রদান করবে। পাশাপাশি এসব সিস্টেমকে নজরদারি ও সাইবার সক্ষমতার সঙ্গে একীভূত করে বহু-স্তরীয় রক্ষাব্যবস্থার একটি সক্রিয় অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

Link copied!