ফরিদপুরে গৃহবধু শেফালী বেগমকে বাগানে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সবুর খালাসী (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) মধ্যরাতে সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০) ও সদরপুর থানা পুলিশের একটি দল।
বৃহস্পতিবার আসামিকে ফরিদপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সবুর আকোটের চর ইউনিয়নের খালাসী ডাঙ্গী গ্রামের নাসিরউদ্দিন খালাসীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে মোমরেজ সেফালী বেগমকে বাড়ির পাশের একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রধান আসামি মোমরেজ তাকে রেখে পালিয়ে যান। ওই সময়ে গৃহবধুর নাতনি ইউপি সদস্য মোমরেজকে দেখে ফেলে।
নানিকে অসুস্থ দেখে চিৎকার শুরু করে নাতনী। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত বিশ্ব জাকের মঞ্জিল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে ভোর ৪টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে সদরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক ইউপি সদস্য মোমরেজ ও তার দুই সহযোগীকে আসামি করা হয়। ঘটনার কয়েক দিন পর ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকেলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি আকোটের চর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোমরেজ খালাসীকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার দুই সহযোগী সবুর খালাসী ও অজ্ঞাত একজন পালাতক ছিলেন।
সদরপুর থানার ওসি নাজমুল হাসান বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এজাহার ভুক্ত আসামিদের একজন সবুর খালাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফরিদপুর কোর্টে পাঠানো হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :