ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিম। বৈরী আবহাওয়াসহ নানা কারণে রাজ্যটিতে প্রায় ১৩০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।
রোববার (১ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ভারী বর্ষণের ফলে ভূমিধস, নদীর পানি বৃদ্ধি ও রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সিকিমে ১৩০০ পর্যটক আটকে পড়েছেন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর সিকিমে ভারী বর্ষণের ফলে ভূমিধস, নদীর পানি বৃদ্ধি ও রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাচেন ও লাচুং উপত্যকায় আটকা পড়েছেন অন্তত ১২৭৬ জন দেশি পর্যটক ও দুইজন বিদেশি নাগরিক। এই এলাকাগুলো মাঙ্গান জেলার অন্তর্গত এবং পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
টানা বৃষ্টি ও তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে ভূমিধস নামে। পরিস্থিতি এতই খারাপ হয়ে যায় যে, উদ্ধার অভিযানও চালানো যায়নি।
২০২৩ সালের গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাডের পর ফিদাং এলাকায় নবনির্মিত বেইলি ব্রিজটি ফের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তর সিকিমের ডজংগু এলাকার এই সেতুটি স্থানীয়দের জন্য একমাত্র সংযোগ পথ হিসেবে কাজ করত। পানির স্রোতের চাপের কারণে সেতুর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে এখন শুধু হেঁটে চলাচল সম্ভব।
এ ছাড়া সিকিমের বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং এতে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ার পথে। গত শুক্রবার রাতে ডজংগুর শিপগিয়ের এলাকায় নতুন করে ধস নামে, ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।
মাঙ্গান জেলার জেলা পঞ্চায়েতের উপাধ্যক্ষ সোনাম কিপা ভুটিয়া বলেন, ‘উত্তর সিকিমের রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। পাহাড়ি উঁচু অঞ্চলে এখনো ৭০০ থেকে ৮০০ জন পর্যটক আটকা পড়ে থাকতে পারেন। ফিদাং ব্রিজই ছিল আমাদের ভরসা, সেটাও এখন ঝুঁকিতে।’
মাঙ্গান জেলার সিনিয়র পুলিশ অফিসার সোনাম ডেচু ভুটিয়া বলেন, ‘রাস্তাঘাট কেটে গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল। এলাকাটি এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।’