দীর্ঘ ৪ বছর পর আবারও ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দু'দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে নয়াদিল্লি পৌছাবেন তিনি। ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি, মিসাইল সিস্টেম ও ফাইটার জেট সরবরাহ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে এ দফায় মুখোমুখি বসবেন পুতিন-মোদি।
জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অমিতাভ সিং বলেন, ভারতের অস্ত্র, প্রযুক্তির পাশাপাশি অন্যান্য বহু ক্ষেত্রে রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নির্ভরযোগ্য সহযোগী। আমারে মনে হয়না ট্রাম্পের শুল্কের হুশিয়ারির কাছে বিচলিত হয়ে অস্ত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে রাশিয়াকে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নেবে ভারত।
তবে দু'দেশের সম্পর্কের মাঝে প্রধান বাধা রাশিয়া থেকে তেল আমদানির দায়ে ভারতের উপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক। তার সাথে রয়েছে ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধে জড়ানোয় রাশিয়ার উপর মার্কিনী ও পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা।ডোনাল্ড ট্রাম্পের লাগাতার হুঁশিয়ারির পরও রাশিয়ার কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি অব্যাহত রাখে ভারত। যার জেরে গেলো অগাস্ট মাসে ভারতের উপর অন্তত ৫০ শতাংশ শুল্কারোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এতসব টানাপোড়েনের মধ্যেও ভাটা পড়েনি নয়াদিল্লি মস্কো দ্বীপাক্ষিক নির্ভরশীলতায়। ফলস্বরূপ, শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার বিপত্তি উপেক্ষা করে এ দফায় সফলভাবে দু'পক্ষের মাঝে প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতেই ভারত সফরে আসছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর অন্যতম শক্তি, রাশিয়া নির্মিত অত্যাধুনিক ফাইটার জেট সুখোই থার্টি। ভারতীয় দুই কর্মকর্তার তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, এবার ভারতকে নিজেদের সবচেয়ে উন্নত এস ইউ-ফিফটি সেভেন ক্রয়ের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে রাশিয়া। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি দিল্লি।
২৩তম ভারত-রাশিয়া দ্বীপাক্ষিক বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাৎ করবেন ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রধানের সাথে আরও থাকবেন দেশটির প্রভাবশালী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জাইবারবাঙ্ক এর প্রতিনিধিরা। এছাড়াও রুশ অস্ত্র রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আলোচনায় আরও থাকবে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ২ জ্বালানী সংস্থার প্রধান নির্বাহীরা।



