ইসরায়েলি হামলার জবাবে ‘জাতীয় প্রতিশোধ’ মাত্র শুরু হয়েছে এবং জায়োনিস্ট রাষ্ট্রকে এর মূল্য চোকাতে হবে এমন কড়া বার্তা দিয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।
ইসরায়েলের হামলার নিন্দায় আইআরজিসি এটিকে ‘সন্ত্রাসী ও কাপুরুষোচিত’ উল্লেখ করেছে। ইরানের পাল্টা হামলা সম্পর্কে তারা কঠোর ও সুসংগঠিত প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে এটি কেবল ‘জাতীয় প্রতিশোধের’ শুরু বলেও ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করেছে।
রোববার (১৫ জুন) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে আইআরজিসি। এতে বলা হয়, জিয়োনিস্ট শাসনের অপকর্মের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। এ সরকারের পতন অনিবার্য।
আইআরজিসির এই বার্তা ইঙ্গিত দেয়, ইসরায়েলকে আরও বড় সংঘাতের মুখোমুখি হতে হবে।
এর আগে ১৩ জুন হঠাৎ ইরানের সামরিক অবকাঠামোতে বড় আকারের আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। তাদের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প, ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এবং সামরিক নেতারা। সেই হামলায় আইআরজিসি অ্যারোস্পেস ফোর্সের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে দাবি তেহরানের।
জানা গেছে, আইআরজিসি অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহসহ সাতজন শীর্ষ কমান্ডার ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন। নিহত কর্মকর্তারা হলেন- মাহমুদ বাকেরি, দাউদ শেখিয়ান, মোহাম্মদ বাকের তাহেরপুর, মনসুর সাফারপুর, মাসউদ তায়্যেব, খসরো হাসানি ও জাওয়াদ জারসারা।
ইসরায়েলের বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানজুড়ে এখন পর্যন্ত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও এক হাজার ২৭৭ জন।
ইরানের দাবি, নিহতদের ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, তারা কেবল সামরিক ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে।
আমির আলী হাজিজাদেহ ছিলেন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ স্থপতি এবং পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে দীর্ঘদিন ধরেই নজরদারির লক্ষ্য। তার মৃত্যু ইরানের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে বিবেচিত হলেও, আইআরজিসি বলছে এই আত্মত্যাগ ইরানিদের প্রতিরোধকে আরও সংহত করবে।