ইসরায়েলের ছোড়া মার্কিন-নির্মিত এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী। সোমবার (১৬ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকের বরাতে ট্রেন্ড সংবাদ সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, ইরান-ইরাক সীমান্তের কাছে দেহলোরান শহরের ওপর দিয়ে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়। ভূপাতিত ইসরায়েলি ড্রোনটি নিষ্ক্রিয় করেছে ইরানি বাহিনী।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, গুলি করে ভূপাতিত করা এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষ দেখানো হয়েছে।
এদিকে, গত রাতে দখলদার ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফাতে সরাসরি আঘাত হেনেছে ইরানের ছোড়া মিসাইল। ইসরায়েলি উদ্ধারকারী সংস্থা জাকা জানিয়েছে, সেখানকার একটি ভবন মিসাইলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ক্যামেরায় হাইফা শহরে বিস্ফোরণ ধরা পড়ে। ওই সময় হাইফার আকাশ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
ইসরায়েলি ফায়ার ও রেসকিউ সার্ভিসও জানিয়েছে, একটি ভবনে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার খবর পেয়েছে তারা।
গত ১৩ জুন ভোরে ইরানের উপর অতর্কিত বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের জেনারেল স্টাফ প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসির কমান্ডার-ইন-চিফ হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের কমান্ডার গোলাম আলী রশিদ ও আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ফোর্স কমান্ডার আমির আলী হাজিজাদেহ।
এছাড়াও নয়জন পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
একই সন্ধ্যায়, ইরান তেল আবিব ও অন্যান্য স্থানে ১৫০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০০ টিরও বেশি ড্রোন নিক্ষেপ করে একটি বৃহৎ আকারের আক্রমণের জবাব দেয়। এই হামলায় বেসামরিক নাগরিক হতাহত এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।