অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ‘ইসরায়েলি’ বাহিনীর একের পর এক হামলায় শুক্রবার ভোর থেকে এখন পর্যন্ত আরও ৪১ জন নিহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার সর্বশেষ হামলায় গাজার পূর্বাঞ্চলের তুফাহ এলাকায় তিনজন নিহত হয়েছেন। একইদিন উত্তর গাজার জাবালিয়া আন-নাজলা এলাকায় আরেকটি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও পাঁচজন।
এর আগে দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায়, যেটিকে ‘ইসরায়েল’ আগেই ‘নিরাপদ এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল, সেখানকার শরণার্থী তাঁবুগুলোতে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং অন্তত পাঁচজন নিহত হন, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জন ছিলেন যারা খাদ্য ও সহায়তা সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বলে জানা গেছে।
আলজাজিরার সংবাদদাতা হানি মাহমুদ জানান, আহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে এবং তাদের নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কয়েকজন ড্রোন হামলার শিকার বলেও জানান তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ ও বারবার বোমাবর্ষণের শিকার গাজায় প্রতিদিন আহতদের চাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা। চিকিৎসকদের বাধ্য হয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
এদিকে গাজায় হামলা চালাতে পেরেকভর্তি ড্রোন মিসাইল ব্যবহার করছে ‘ইসরায়েলি’ বাহিনী। বিস্ফোরণের সময় উচ্চগতিতে ছিটকে যাওয়া পেরেকের ধাতব টুকরাগুলো শরীরের ঢুকে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত ঘটায়, ফলে মৃত্যু ঘটে অধিকাংশ মানুষের।
এই পেরেকভর্তি ড্রোন মিসাইলের হামলায় এরই মধ্যে অনেক শিশু আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, যেসব শিশু গুরুতর দগ্ধ এবং ছিটকে পড়া ধাতব টুকরার আঘাতে আহত হয়েছে, তাদের প্রাণ বাঁচাতে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হামলাগুলো এমন এক সময়ে ঘটছে, যখন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করছে যে, তারা অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে।
