রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম

গাজায় ক্ষুধার্ত শিশুদের ‘ভয়ংকর কৌশলে’ গুলি করা হচ্ছে

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম

ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর তৃতীয়বারের মতো গাজা সফরে সার্জন নিক মেইনার্ড। ছবি- সংগৃহীত

ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর তৃতীয়বারের মতো গাজা সফরে সার্জন নিক মেইনার্ড। ছবি- সংগৃহীত

গাজার খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রগুলোতে একেক দিনে শিশুদের শরীরের একেক অংশে গুলি করা হচ্ছে। এমনই এক খেলায় মত্ত দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এই ভয়ংকর অভিযোগ তুলেছেন যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক নিক মেইনার্ড। সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে কর্মরত এই ব্রিটিশ সার্জন জানান, তিনি ও তার সহকর্মীরা গুলিবিদ্ধ শিশুদের শরীরে গুলি করার একটি ‘স্পষ্ট প্যাটার্ন’ খেয়াল করছেন।

বিবিসি রেডিও ৪-এর ‘টুডে’ প্রোগ্রামে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেইনার্ড বলেন, ‘একদিন আমরা দেখি, সবাই পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে, আরেকদিন দেখি সবাই মাথা বা গলায় গুলিবিদ্ধ, আবার অন্য একদিন দেখি সবাই হাত বা পায়ে গুলিবিদ্ধ। দেখে মনে হচ্ছে একটা খেলা চলছে—আজ মাথায় গুলি করা হবে, আগামীকাল গলায়, পরদিন অণ্ডকোষে। এটা নির্মম এবং অমানবিক।’

মেইনার্ড জানান, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) সহায়তা কেন্দ্রগুলো এখন ‘মৃত্যুকূপ’ হয়ে উঠেছে। শিশুদের মধ্যে যারা গুলিবিদ্ধ হচ্ছে, তাদের বেশির ভাগই ক্ষুধার্ত হয়ে খাবারের সন্ধানে যাচ্ছে, কিন্তু সেখানে গিয়েই ইসরায়েলি সেনা বা ড্রোন থেকে গুলিবর্ষণের শিকার হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এক ১২ বছর বয়সি ছেলেকে অস্ত্রোপচার করছিলাম, সে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। অপারেশন টেবিলেই তার মৃত্যু হয়।’

এই চিকিৎসক জানান, অপারেশনের পর শিশুদের সুস্থতার জন্য দরকার যথেষ্ট পুষ্টি। কিন্তু চরম অপুষ্টির কারণে তাদের শরীরের ক্ষত শুকাতে পারছে না। এই ক্ষত থেকে মারাত্মক সংক্রমণ হয় এবং তারা মারা যায়। আমি কখনো এত রোগীকে শুধু খাবারের অভাবে মরতে দেখিনি।’

বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু মেইনার্ড নন, গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে কর্মরত আরও অনেক চিকিৎসক জানিয়েছেন, জিএইচএফ কেন্দ্রগুলোতে গুলিবিদ্ধ রোগীদের মধ্যে এমন ‘নির্দিষ্ট প্যাটার্ন’-এ আহত হওয়ার বিষয়টি তারা লক্ষ্য করেছেন।

এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি’ বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছে আরও ১১৬ জন ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে খাদ্যের সন্ধানে ত্রাণকেন্দ্রে যাওয়ার সময় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ জন।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসালের বরাত দিয়ে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনুস ও রাফাহর নিকটবর্তী যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) সহায়তা কেন্দ্রের আশপাশে শনিবার গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসের শেষদিকে জিএইচএফ সহায়তা বিতরণ শুরু করার পর থেকে এ ধরনের সহায়তা কেন্দ্রগুলোর আশপাশে ‘ইসরায়েলি’ বাহিনী ও বেসরকারি সামরিক কনট্রাক্টরদের গুলিতে প্রায় ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ আল-খালিদি আলজাজিরাকে বলেন, ‘গুলি করার উদ্দেশ্যই ছিল হত্যা করা। হঠাৎ আমরা দেখি এক পাশে জিপ, আরেক পাশে ট্যাংক এসে গুলি চালাতে শুরু করে।’

গুলিতে নিহত একজনের আত্মীয় এবং প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ আল-বারবারি বলেন, ‘জিএইচএফ-এর সহায়তা কেন্দ্রগুলো মৃত্যুকূপের মতো। যে কেউ এখানে মারা যেতে পারে। আমার আত্মীয় তো শুধু খাবার আনতে গিয়েছিল। বাঁচতে চেয়েছিল। আমরা সবাই বাঁচতে চাই।’

গাজার মধ্যাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক হিন্দ খুদারি বলেন, ‘খাদ্যের আশায় আসা পরিবারগুলো এখন তাদের স্বজনদের কবর দিচ্ছে।’

জিএইচএফ দাবি করেছে, শনিবারের প্রাণহানির ঘটনা তাদের সহায়তা কেন্দ্রের বাইরে ঘটেছে এবং কেন্দ্র খোলার ঘণ্টাখানেক আগেই কয়েক কিলোমিটার দূরে ঘটেছে।

Shera Lather
Link copied!