ক্ষমতা হস্তান্তরের ইঙ্গিত দিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। জানিয়েছেন নিজের উত্তরসূরীর নামও। এক লিখিত ঘোষণায় গত রোববার এমন ঘোষণাই দেন তিনি। ঘোষণাটি প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা।
গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ঘোষণায় আব্বাস বলেছেন, ‘কোনো কারণে যদি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) প্রধানের পদ শূন্য হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের এবং প্যালেস্টাইনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) ভাইস প্রেসিডেন্ট হুসেইন আল শেখ অস্থায়ীভাবে এই পদে স্থলাভিষিক্ত হবেন।’
‘তার (হুসেইন আল শেখ) দায়িত্ব হবে ফিলিস্তিনের নির্বাচনী আইন মেনে নির্বাচনের আয়োজন করা এবং তারপর নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা,’ যোগ করেন তিনি।
টানা ২০ বছর ধরে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের পদে আছেন মাহমুদ আব্বাস। ২০০৪ সালের নভেম্বরে পরলোকগমন করেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট এবং অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসের আরাফাত। তার মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরি হিসেবে ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হন আব্বাস।
প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হয় ফিলিস্তিনের সংবিধান অনুসারে। যদি অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার কারণে তা সম্ভব না হয়, তাহলে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আরও এক মেয়াদ এই পদে থাকবেন।
সংবিধানের ডিক্রি নম্বর এক-এ আরও বরা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদ কোনো কারণে শূন্য হয়ে গেলে পরবর্তী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন ফিলিস্তিনের পার্লামেন্ট প্যালেস্টাইনিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বা স্পিকার।
মাহমুদ আব্বাসের সাম্প্রতিক ঘোষণা সংবিধানের ডিক্রি নম্বর ১-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়া ডিক্রিটি বাতিল করা হয়েছে। মাহমুদ আব্বাসের ঘোষণায় এর ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে।
ঘোষণায় মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা রক্ষা, মাতৃভূমির নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সুরক্ষার স্বার্থে সংবিধানের এক নম্বর ডিক্রি বাতিল করা হলো।’


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন