ইউক্রেনের একের পর এক ড্রোন হামলায় রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর প্রধান সব বিমানবন্দর সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে মস্কো থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা অন্তত ১৪০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। রুশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে।
দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে, ইউক্রেনের হামলায় মস্কোর প্রধান সব বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। হামলার কারণে সেখানকার ১৩০টিরও বেশি ফ্লাইটের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। রাশিয়ার ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন আটোর বলেছে, ইউক্রেনের ড্রোন হামলার কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় মস্কোর বিমানবন্দরগুলো কমপক্ষে ১০ বার বন্ধ রাখতে হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে সব বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
এর আগে, মে মাসে রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল লক্ষ্য করে একদিনে ৫০০টির বেশি ড্রোন হামলা চালিয়েছিল কিয়েভ। সেই সময় রাশিয়াজুড়ে প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়েন বলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল।
এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার রাতভর বিমান হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির আঞ্চলিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, দোনেৎস্কের বিভিন্ন স্থানে রাশিয়ার বিমান হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। সুমি অঞ্চলে আবাসিক ভবনে রুশ হামলায় আগুন ধরে যাওয়ায় ৭৮ বছর বয়সি এক বৃদ্ধ নারী মারা গেছেন।
হামলা-পাল্টা হামলার মাঝেই ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে শান্তিচুক্তির বিষয়ে আগ্রহী। তবে মস্কোর মূল লক্ষ্য নিজেদের উদ্দেশ্য অর্জন করা।
পেসকভ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন বারবার বলেছেন, ইউক্রেন পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান যত দ্রুত সম্ভব চাই। এটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, যার জন্য প্রচেষ্টা ও ধৈর্য্য দরকার।’
এদিকে, শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর সঙ্গে আলোচনার নতুন এক প্রস্তাব দিয়েছেন। গত জুনে থেমে যাওয়া আলোচনা আবারও শুরু করাই তার এই প্রস্তাবের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন। অতীতের আলোচনায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির দেখা না মিললেও কয়েকবার বন্দি বিনিময় হয়েছে। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত।
আপনার মতামত লিখুন :