চলন্ত বাসে একা ভ্রমণ করছিলেন ২০ বছর বয়সী এক তরুণী। হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। যাত্রীদের সহায়তায় চিকিৎসা শুরু করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি—৪০ মিনিটের মধ্যেই তার মৃত্যু ঘটে।
তবে ঘটনার পর চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তারা যা দেখলেন, তাতে স্তম্ভিত হয়ে যান সবাই।
তরুণীর দেহ পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যান্ডেজ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় মোট ৩৬টি আইফোন লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ফোনগুলো তার পোশাকের নিচে বিশেষভাবে আটকানো ছিল।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ জুলাই ব্রাজিলের পারানা প্রদেশের গুয়ারাপুভা শহরের একটি রেস্তোরাঁয় বাসটি থামার সময়। জানা গেছে, মৃত তরুণী ফজ দো ইগুয়াচু শহর থেকে সাও পাওলো যাচ্ছিলেন।
যাত্রাপথে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন। প্যারামেডিক দল এসে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে। তখনই তার শরীর থেকে একের পর এক আইফোন উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, এ ধরনের চোরাচালানের কৌশল সাধারণত পেশাদার পাচারকারীদের মধ্যে দেখা যায়। তরুণীর শরীরে যেভাবে মোবাইলগুলো বাঁধা ছিল, তাতে চোরাচালানের সম্ভাবনা প্রবল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও তার সঙ্গে থাকা ব্যাগে বেশ কয়েকটি মদের বোতলও পাওয়া গেছে।
মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে। প্রাথমিক ময়নাতদন্তে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কথা বলা হলেও মরদেহের ওপর ফরেনসিক বিশ্লেষণ শেষে মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানাবে পুলিশ।
এদিকে, এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাও পাওলো ও আশপাশের অঞ্চলে। তদন্তকারীরা এখন মোবাইল পাচারের সম্ভাব্য চক্র এবং তরুণীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কারো সন্ধানে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।