যশোর শহরের পূর্ব বারান্দিপাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে বিপদজনক ভাবে তারা পারাপার হলেও ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেই। ফলে বাঁশের সাঁকো পারাপারে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে যশোর সদর উপজেলার তরফ নওয়াপাড়ায় শফিয়ার রহমান মডেল একাডেমি স্থাপিত হয়। সেখানে পূর্ব বারান্দীপাড়ার দুই শতাধিক ছেলে মেয়ে লেখাপড়া করে। রাস্তা দিয়ে আসতে হলে তাদের ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়।
ফলে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত সুবিধায় এলাকাবাসী পূর্ব বারান্দীপাড়ার ভৈরব নদের ওপর একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে। সেই সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতো। ওই সাঁকোটি ভেঙে গেলে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আরেকটি সাঁকো বানিয়ে দেয়া হয়।
অভিভাবক মুরাদ হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়ার জন্য একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। সেখানে আজো কোন ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে হচ্ছে।
আরেক অভিভাবক আশিকুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা যাওয়ার সুবিধার্থে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পারাপারে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
শফিয়ার রহমান মডেল একাডেমির প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম জানান, পূর্ব বারান্দিপাড়ার দুই’শ ছেলে মেয়ে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। রাস্তা দিয়ে আসতে হলে তাদের দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হবে।
রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করা শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ রাস্তা দিয়ে অনেক পরিবহন দ্রুতগতিতে চলাচল করে। এ কারণে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের সামনে ভৈরব নদের উপর সাঁকো নির্মাণ করে দেয়।
তার উপর দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসে সেটা ভেঙে গেলে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নতুন সাঁকো নির্মাণ করে দেয়া হয়। তার উপর দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসে, ছুটির পর বাড়ি যায়। শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়ার জন্য একটি ব্রিজ নির্মাণ প্রয়োজন।
যশোর সদর উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা চৌধুরী মোহাম্মদ আছিফ রেজা জানান, শফিয়ার রহমান মডেল একাডেমির শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধায় ভৈরব নদের ওপর ব্রিজ নির্মাণে নতুন প্রকল্পে দেয়া হয়েছে। প্রকল্প পাস হওয়ার পর ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।


