ঢাকা শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ওষুধ শিল্পে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ভারত

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৮:৪৭ এএম
ওষুধের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক ট্রাম্পের। ছবি- সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া ব্র্যান্ডেড ও পেটেন্টকৃত ওষুধের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন, যা আগামী ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে কার্যাকর হবে। এই সিন্ধান্তে ভারতীয় ওষুধ খাতে বড় ধাক্কার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ নয়াদিল্লির ওষুধ রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার ওয়াশিংটন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।

বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্রাম্প লিখেছেন, ‘যে কোনো কোম্পানি যদি যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে ওষুধ তৈরির কারখানা নির্মাণ শুরু না করে, তবে তাদের ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্ট ওষুধ আমদানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।’ তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, যে কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই শুল্ক প্রযোজ্য হবে না।

ভারতের জন্য কী ঝুঁকি?

যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওষুধ রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতের মোট ২৭.৯ বিলিয়ন ডলারের ওষুধ রপ্তানির মধ্যে ৩১ শতাংশ—প্রায় ৮.৭ বিলিয়ন ডলার যায় যুক্তরাষ্ট্রে। শুধু ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ওষুধ রপ্তানি হয়েছে ৩.৭ বিলিয়ন ডলারের।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত সাশ্রয়ী জেনেরিক ওষুধের ৪৫ শতাংশই আসে ভারত থেকে। এ ছাড়া ১৫ শতাংশ বায়োসিমিলার ওষুধও সরবরাহ করে ভারতীয় কোম্পানিগুলো। ড. রেড্ডি’স, অরবিন্দো ফার্মা, জাইডাস, সান ফার্মা ও গ্ল্যান্ড ফার্মার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মোট আয়ের ৩০-৫০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে পায়।

যদিও নতুন শুল্ক মূলত ব্র্যান্ডেড ও পেটেন্ট ওষুধকে লক্ষ্য করে, তবুও জটিল জেনেরিক ও বিশেষায়িত ওষুধ এ আওতায় আসবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারতীয় কোম্পানিগুলো সাধারণত কম লাভের মার্জিনে জেনেরিক সরবরাহ করে। শুল্ক বেড়ে গেলে খরচ বাড়বে, যা হয়ত শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা বা বীমা কোম্পানির ওপর চাপিয়ে দেয়া হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধের দাম বাড়া, এমনকি ঘাটতিরও আশঙ্কা রয়েছে।

এর আগে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ বাড়তি জরিমানা যুক্ত হয়েছে রাশিয়ার তেল আমদানি অব্যাহত রাখার কারণে।