ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করে তিনি বলেন,‘প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন। তিনি জাতিসংঘে কিছু দলকে নিয়ে সফর করেছেন, অন্যদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। তিনি নিরপেক্ষ নয়, নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। সরকারপ্রধান অনেক বড় শিক্ষিত, শান্তিতে পেয়েছেন নোবেল, তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় জিরো পেয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চৌরাস্তার মোড়ে ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি, গণহত্যার বিচার, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন এবং ইনসাফভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ফয়জুল করিম বলেন, দেশে কিছু দালাল জরিপ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা প্রকৃত চিত্র প্রকাশ না করে নিজেদের স্বার্থে রিপোর্ট দেয়। তারা দাবি করে নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের কোনো ভোট নেই, কিন্তু সাধারণ মানুষ আজ আলেম-ওলামাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৫৩ বছরে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি-আওয়ামী লীগ দুর্নীতিতে দেশকে ছয়বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছে। এ কারণে মানুষ এসব দলের কর্মকাণ্ড দেখে এখন বিকল্প খুঁজছে।
ফয়জুল করিম সাম্প্রতিক সহিংসতার কথাও উল্লেখ করেন। তার অভিযোগ, গত ৫ আগস্টের পর একটি রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে ইসলামিক রাষ্ট্র কায়েম হলে দুর্নীতি ও বৈষম্য থাকবে না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান সবার জন্য সমানভাবে নিশ্চিত হবে। সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানান, যে কোনো মূল্যে নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে করতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বোয়ালমারী উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি ও ময়না ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আব্দুল হক মৃধা। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর-২ আসনের খেলাফত মজলিসের প্রার্থী শাইখুল হাদীস আল্লামা শাহ আকরাম আলী, ফরিদপুর-১ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ড. মো. ইলিয়াস মোল্লা, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুফতি সরাফত হোসেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ওয়ালিউর রহমান রাসেল।
বক্তারা সমাবেশে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি দমন এবং ন্যায়ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।