ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জনগণ কখনো আ. লীগকে উঠে দাঁড়াতে দেবে না: দুদু

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, পৃথিবীর যত বড় শক্তিই আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিক না কেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের কখনো ক্ষমা করবে না, কখনো উঠে দাঁড়াতে দেবে না। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী এবং বর্বর রাজনৈতিক দল। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ অপশক্তিকে প্রতিরোধ করতে হবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’-এর উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

দুদু বলেন, আওয়ামী লীগ একটি অসভ্য ও ফ্যাসিবাদী চরিত্রের রাজনৈতিক দল। ক্ষমতায় এলে তারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। মুখে এক কথা বলে, কাজে আরেকটি করে। স্বাধীনতার পর দেশে হত্যা, সন্ত্রাস, অপহরণ ও গুমের রাজনীতি শুরু করে আওয়ামী লীগ। শেখ মুজিবুর রহমান রক্ষীবাহিনী গঠন করেন এবং তার আমলে প্রায় ৪০ হাজার বিরোধী নেতাকর্মী নিহত হন। দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান। বাকশাল গঠন করে তিনি সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতা চালাচ্ছিলেন শেখ হাসিনা।

তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সীমাহীন লুটপাট করেছেন, যা বিশ্বে নজিরবিহীন। বিরোধী মত দমন করতে গণহত্যা ও গুম চালিয়েছেন। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলম আজও ফিরে আসেননি। আয়নাঘরের মতো ভয়ংকর নির্যাতন কেন্দ্র বানিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে বা বছরের পর বছর আটক রাখা হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক ঘটনার প্রসঙ্গে সাবেক এমপি বলেন, সম্প্রতি নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের সৃষ্ট ঘটনা প্রমাণ করেছে, এক বছর পার হলেও তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। তারা বাংলাদেশে গণহত্যা, নিপীড়ন ও সীমাহীন দুর্নীতি করলেও কখনো জাতির কাছে বা বিশ্বের কাছে ক্ষমা চায়নি।

দুদু বলেন, ‘আল্লাহ বান্দার ভুল ক্ষমা করেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের অপকর্ম, দুর্নীতি ও গণহত্যার জন্য কখনো সৃষ্টিকর্তা বা দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চায়নি। তাই বলা যায়, আওয়ামী লীগ ইসলামেরও বিপরীত শক্তি।’

বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই যেন ফেব্রুয়ারি মাস পার হয়ে না যায়। নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে হবে।

‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’-এর সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির মো. ফারুক রহমান, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, আজাহারুল ইসলাম সাবেক এমপি নুর আফরোজ জ্যোতি, কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদী প্রমুখ।