পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে দেশে দলীয় ও ব্যক্তি স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে এক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, অনেক আইনজীবী দাবি করছেন এই সরকার পুরোপুরি সাংবিধানিক নয়, বরং অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে পরিচালিত একটি সরকার। তবে জনগণের অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত দলিল সংবিধান হিসেবে গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তা শুধু বক্তৃতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে যায়।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সাম্প্রতিক এক জরিপে বলা হয়েছে, ৫৬ শতাংশ মানুষ পিআর কী তা বোঝে না। অথচ অন্য এক জরিপে দাবি করা হয়েছে ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতি চায়। ৫৬ শতাংশ মানুষই যদি পিআর না বুঝে, তাহলে ৭০ শতাংশ সমর্থনের তথ্য কোথা থেকে এলো? এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য জাতিকে ভুল পথে পরিচালিত করছে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যদি সরকারের নির্বাচন দেওয়ার এখতিয়ার না থাকে, তাহলে রাজনৈতিক দলের এখতিয়ার কোথায়? কোন আইনে নির্বাচন হবে, সেটা জাতির জানা দরকার।’
পিআর নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে মানুষ ভোট দেবে প্রতীকে, কিন্তু কোন দল কাকে এমপি বানাবে তা নির্ধারণ করবে শুধু দলের শীর্ষ নেতা বা সেক্রেটারি। এতে জনগণের পছন্দ গুরুত্ব পাবে না, বরং দলীয় স্বৈরতন্ত্র ও ব্যক্তি স্বৈরতন্ত্রই কায়েম হবে।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্রের অবসান করেছি। এখন যদি পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে আবারও স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে সেটা হবে জনগণের সঙ্গে এক বড় প্রতারণা।’