ঢাকা শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

নির্বাচনের দিনে গণভোট, জামায়াতসহ ৮ দলের তীব্র নিন্দা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম
আট দলের সংবাদ সম্মেলন। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন দেশে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এই ঘোষণার পর জামায়াতে ইসলামীসহ ৮টি দল তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে ইসলামী আট দলের শীর্ষ নেতারা জরুরি বৈঠকে বসেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার আলোচনা শেষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আশা পূরণ হয়নি।

তাহের বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর জনগণ স্বস্তি অনুভব করবে। কিন্তু ভাষণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এটি আকাঙ্ক্ষিত ফলাফল দিতে পারবে না। এই ভাষণ থেকে সুখকর ভবিষ্যতের সংকেত পাওয়া যাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ নয় মাসের প্রচেষ্টা এখনো পরিপূর্ণ সফলতা অর্জন করেনি। গণভোটের মাধ্যমে আগে থেকেই নির্ধারণ করা উচিত ছিল, কোন সংস্কারগুলো জনগণ চায়। জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট একসাথে হলে রাষ্ট্র সংস্কারের পথে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।’

এর আগে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট অনুষ্ঠিত হবে, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজন করা হবে। এতে নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।’

গণভোটে থাকছে চারটি প্রশ্ন

ক. নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।

খ. আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চ পক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।

গ. সংসদের নারী প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সংসদের রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।

ঘ. জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।