ঢাকা শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

বললেন রিজভী

আওয়ামী ভাইরাসকে লকডাউন দিয়েছে দেশের মানুষ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৫, ১২:০৮ এএম

জনগণ আওয়ামী দোসর নামক ভাইরাসকে লকডাউন দিয়ে রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এখন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।’

রিজভী বলেন, ‘লকডাউন দেওয়া হয় ভাইরাসের বিরুদ্ধে। কিন্তু তাদের ব্যাপারে লকডাউন তো বাংলাদেশের জনগণের! করোনাভাইরাস যেমন মানুষের শ^াসরুদ্ধ করে দিত, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ছিল জাতির শ^াসরুদ্ধ করে দেওয়া একটি রাজনৈতিক দল। যারা জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছিল। জনগণ তো লকডাউন দিয়ে রেখেছে এই আওয়ামী দোসর নামক ভাইরাসদের। আর আপনারা উল্টো লকডাউন দিচ্ছেন এ দেশে! তাহলে আপনারা যদি চলেই আসেন কোনোভাবে, তাহলে বাংলাদেশকে আবার সেই পরিস্থিতির শিকার হতে হবে। কণ্ঠের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি, কেউ কোনো কিছু করতে পারবে না। যেভাবে তারা দেশ চালিয়েছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শূন্য করে দিয়েছেন, রাজকোষ শূন্য করে দিয়েছেন, শূন্য করে দিয়ে বড় বড় প্রজেক্টের নামে টাকা পাচার করেছেনÑ এই স্বপ্নে বিভোর হয়ে তারা ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের জন্য লকডাউন নামক একটি অদ্ভুত ফ্রেজ ব্যবহার করে সেই কর্মসূচি দিচ্ছেন এবং তার জন্য আগুন ছড়িয়ে পড়ছে,’ যোগ করেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘বিএনপি বা সমমান রাজনৈতিক দলগুলো যখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েছে, আমরা বলেছিলাম এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন জায়গায় যে আগুন লাগানো হয়েছে বাসে এবং আগুনে পোড়ানো হয়েছে, এটা রাষ্ট্র কর্তৃক করা হয়েছে, রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে করা হয়েছে। তার কিছু নজির তখনই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফুটে উঠেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ছেলেরা ফেসবুকে পোস্ট করেছে কাজ করে কারা, আর মানে নাম হয় কাদের! আমরা লাগালাম আগুন, আর দোষ পড়ছে... কৌশলটা খুব ভালো। এখনো তার ডকুমেন্ট আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগুনে মানুষ পোড়ানোর এই কালচার যে আওয়ামী লীগের, সেটার আবার আমরা প্রমাণ পাচ্ছি এখন। তখন তো রাষ্ট্র ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার চালিয়ে গেছে, কিন্তু ওরাই যে করেছে তার প্রমাণ এখন বিভিন্ন বাসে আগুন দেওয়া।’