ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে নেওয়া হচ্ছে: শামীম হায়দার 

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৫, ১০:২৪ পিএম
জাপা মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।। ছবি- সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেটার তো আসলে সুযোগ নাই। সংবিধানের ওপর তো কোনো সনদ যেতে পারে না।’ 

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যে কাজটি (জুলাই সনদ বাস্তবায়ন) নির্বাচিত সংসদ করত, সে কাজটি নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে করে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরবর্তী সংসদকে কেউ বিশ্বাস করছে না। এটা একটা বিশ্বাসহীনতার প্রতীক হয়ে যাচ্ছে।’

সরকারের এমন সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষুব্ধ হলে ‘নতুন করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে’ বলে মন্তব্য করেন জাপা মহাসচিব।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হবে। তার এই সিদ্ধান্তকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তবে জুলাই সনদে বর্ণিত সংস্কার বাস্তবায়নের নানা কৌশল সম্পর্কে আপত্তি আছে তার।’

তিনি বলেন, ‘নানা বিষয়ে সংশোধনীর কথা বলা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন করতে জনগণকে সংস্কার পড়াতে হবে, সংবিধান পড়াতে হবে, সংবিধানের এমেনমেন্ট (সংশোধন বা পরিবর্তন) বলতে হবে। এ কাজের জন্য সরকার জনগণকে প্রস্তুত করবে কীভাবে? সংশোধনী নিয়ে আপত্তি থাকলে (নোট অব ডিসেন্ট) সেটা কীভাবে করা হবে। এটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি করল। এখন আমাদের দুটো সংবিধান হয়ে গেল। একটা সংসদে বা গণপরিষদে পাস করা সংবিধান, আরেকটা ঐকমত্য কমিশনের সংবিধান।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হবার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।

এ প্রসঙ্গে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘উচ্চকক্ষ করতে গেলে সংবিধানের এমেনমেন্ট করতে হবে। এক মাসের মধ্যে উচ্চকক্ষ করতে হবে। সেই উচ্চকক্ষের বিষয়টি তো আগে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তা না হলে কীভাবে উচ্চকক্ষ হবে? এমন বেশ কিছু অমীমাংসিত বিষয় আছে এখানে। তবে উচ্চকক্ষ থাকলে তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ বাড়বে। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের একটা নিরীক্ষা হতে পারে। উচ্চকক্ষ ধারণা মন্দ না।’