সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বিলাসবহুল জেট বিমান কিনে তোপের মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম। শনিবার (১৯ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজের এবং মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ব্যবহারের জন্য সম্প্রতি দুটি বিলাসবহুল গালফস্ট্রিম জি সেভেন জিরো জিরো জেট বিমান কেনার অনুমতি দিয়েছেন ক্রিস্টি। সেই বিমান ইতোমধ্যে এসে পৌঁছেছে এবং এই দুটি বিমানের মূল্য হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে মোট ১৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর পুরোটাই সরকারি অর্থ।
নিউইয়র্ক টাইমসে এ খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুবিষয়ক কমিটির প্রধান চাক শুমার সোমবার এক ভিডিওবার্তায় এ ঘটনাকে সরকারি অর্থের ‘যথেচ্ছ অপব্যবহার’ উল্লেখ করে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেন।
ভিডিওবার্তায় শুমার বলেন, ‘সরকারি জবাবদিহিতা দপ্তরের (গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্টিবিলিটি অফিস- জিএও)- মাধ্যমে এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছি। আমরা জানতে চাই, জনগণের করের টাকায় এই বিলাসবহুল জেট বিমান কেনার পেছনে কোন ঘোড়ার ডিমের যুক্তি কাজ করেছে।’
এর আগে সিনেট অধিবেশনে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে এই বিমান দুটি কেনার ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন শুমার। কর্মকর্তারা বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য কেনা হয়েছে বিমান দুটি। তবে শুমার এ ব্যাখ্যা গ্রহণ করেননি।
সোমবারের ভিডিওবার্তায় শুমার বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলছি এমন একটি সময় আমরা পার করছি, যখন মার্কিনিদের খাবার ও গৃহস্থালি সরঞ্জাম কেনার জন্য আগের চেয়ে বেশি অর্থ গুণতে হচ্ছে, গাড়ির কিস্তির টাকা নিয়মিত পরিশোধ করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে, বিদ্যুতের বিল বাড়ছে তো বাড়ছেই…আর আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম ভাবছেন, এই মুহূর্তে জনগণের করের অর্থে নিজের ব্যবহারের জন্য বিলাসবহুল জেট কেনা সবচেয়ে জরুরি।’
কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন কমিটি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি উপকমিটি অবশ্য ইতোমধ্যে এ ইস্যুতে সক্রিয় হয়েছে। এই বিমান ক্রয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য চেয়ে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েকে চিঠি দিয়েছে এ দুই কমিটি।