গাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে আজ বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ভুটান। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সন্ধ্যা ৭টায় দুদলের ম্যাচটি শুরু হবে। এরই মধ্যে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে প্রতিটিতে জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। দুই ম্যাচে তাদের অর্জন সর্বোচ্চ ৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে, দুই ম্যাচ খেলে একটিতে জিতেছে ভুটান। গত ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫-০ গোলে জিতেছে তারা। এর আগে নেপালের কাছে ৬-১ গোলে হারে ভুটানিজরা। আজ বাংলাদেশের সামনে তাদের ভালো পরীক্ষাই দিতে হতে পারে।
টানা দুই জয়ে এখন আত্মবিশ^াসের পারদ অনেক উঁচুতে বাংলাদেশের মেয়েদের। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জন্য শক্ত প্রতিপক্ষ ভাবা হয়েছিল নেপালকে। তাদের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। শেষ মুহূর্তের গোলে পাওয়া এই জয় বাংলাদেশ দলের জন্য আত্মবিশ^াসের জ¦ালানি। নেপাল ম্যাচে জয়ের পর বাংলাদেশ দলের কোচ পিটার বাটলার বলেছেন, ‘আমি মনে করি, প্রথমার্ধে আমরা তাদের তুলনায় ভালো দল ছিলাম, সম্ভবত ৫৫-৬০ মিনিট পর্যন্ত। ওই লাল কার্ডের পর আমরা একটু নার্ভাস হয়ে পড়লাম, এ জন্য কোনো সমবেদনা নেই, আমাদের পালটা জবাব দেওয়া উচিত হয়নি। তাই, এ জন্য আমার কোনো সহানুভূতি নেই (সাগরিকার প্রতি)।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে এ নিয়ে আমার কোনো অভিযোগও নেই। একই সঙ্গে বলতে হচ্ছে, ওই বিষয় খেলার ধারা বিঘিœত করেছিল এবং আমি মনে করি, নেপাল সেই সুযোগ নিয়েছে। আমি কিছু বদলি নামিয়েছিলাম, তারা তেমন প্রভাব রাখতে পারছিল না। শেষদিকে মেয়েদের খুবই নার্ভাস দেখাচ্ছিল, যেটা আমাদের বেলায় স্বাভাবিক নয়। আমার মনে হয়, শেষ ৩০ মিনিট আমরা ছিলাম একেবারেই যাচ্ছেতাই।’ দুই গোল খেয়ে নেপাল ম্যাচে চাপে পড়ার কথা ম্যাচ শেষে বলেছিলেন জয়সূচক গোল করা তৃষ্ণা। বাটলার বললেন, ওই পরিস্থিতিতে তার হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তবে মেয়েদের সেরাটা না পাওয়ার পেছনে টানা খেলা ও ভারি মাঠের দায়ও দেখছেন তিনি। বাটলার বলেন, ‘এই মেয়েরাও মানুষ, তারা তরুণ এবং আমার বিশ্বাস নিজেদের পথ তারা খুঁজে নেবে। (ঠাসা সূচির কারণে) আমাদের অনুশীলনের সময় নেই। ১২ দিনের মধ্যে ছয়টি ম্যাচ খেলতে হবে। মেয়েরা চোট নিয়ে খেলছে। রিকভারি, খেলা, পুল সেশন, খাওয়া, ঘুমানো, আবারও খেলা-আমি মনে করি না, এটা উন্নয়নের জন্য ভালো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, অন্যরাও আমাদের মতো করেই ভাবছে। বিশেষ করে এই ভারি মাঠে খেলা, তবে আমি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। তবে একই সঙ্গে বলছি, যেভাবে শেষ ২০-৩০ মিনিট মেয়েরা খেলেছে, কেউ কেউ অগোছালো ছিল, সত্যি বলতে আমি খুশি নই, আমার হৃদস্পন্দন বন্ধ হতে বসেছিল।’ উমহেলা, সাগরিকা, তৃষ্ণার মতো তরুণরা ভুল থেকে শিখবে বলেও মনে করেন বাটলার। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এই টুর্নামেন্টে জেতা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এই মেয়েদের উন্নতি। তারা ভুল করবে, ভুল থেকে শিখবে। মূল বিষয় হচ্ছে, একই ভুল দ্বিতীয়বার না করা। তবে যাই হোক, ম্যাচটা আমরা জিতেছি এবং আমি মনে করি, এই জয় আমাদের প্রাপ্য।’
আপনার মতামত লিখুন :