শুল্ক ফাঁকির উদ্দেশ্যে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে বিএমডব্লিউ গাড়ি খালাসের চেষ্টা করায় চট্টগ্রামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার সকালে দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালির আজিজ চেম্বারস্থ মেসার্স এইচ কে ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি কামরুল হাসান বিল অব এন্ট্রিতে টয়োটা প্রাডো পি-জিপ আমদানির মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে প্রকৃতপক্ষে একটি বিএমডব্লিউ রিকন্ডিশনড জিপ খালাসের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় জাল কাগজপত্র তৈরি ও ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি সরকারকে প্রায় চার কোটি ৯৩ লাখ ১০ হাজার টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার অপচেষ্টা করেন।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১১ সালে, যখন ঢাকার ইমা টেক্স ট্রেডিংয়ের নামে একটি এলসির (নং: ১৪১৭১১০১০০৮১) আওতায় একটি প্রাডো গাড়ি আমদানির কথা উল্লেখ করে কামরুল হাসানের প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি (সি-১২৩৮৭৯) দাখিল করে। তবে পরবর্তী সময়ে কন্টেইনার খুলে দেখা যায়, সেখানে রয়েছে একটি ২০১১ মডেলের বিএমডব্লিউ ঢ-৫ এবং একটি ৪০ ইঞ্চির এলসিডি টিভি।
তদন্তে উঠে আসে, প্রাডো গাড়িটি একই এলসির আওতায় অনেক আগেই ছাড় করে নিয়েছিল ইমা টেক্স ট্রেডিং। আর বিএমডব্লিউ গাড়িটির প্রকৃত আমদানিকারক শহিদুর রহমান নামের এক ব্যক্তি, যার নামে শিপমেন্ট এবং আইজিএম দাখিল করা হয়। অথচ তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তদন্তে আরও দেখা যায়, কামরুল হাসান ও তার প্রতিষ্ঠান ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে এবং অন্যের বৈধ আমদানির ডকুমেন্টস ব্যবহার করে ভিন্ন গাড়ি খালাসের চেষ্টা করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। এতে তিনি দ-বিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৫১১ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলাটি তদন্ত করবে দুদক।
আপনার মতামত লিখুন :