গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও সমাবেশ কর্মসূচি ঘিরে দফায় দফায় হামলা করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল বুধবার দুপুরে এ হামলা, অগ্নিসংযোগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ শহর। এ ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হন। এ ছাড়া রূপালী বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি মোজাম্মেল হোসেন মুন্নাসহ আহত হয়েছেন অনেকে। এরপর বিকালে গোপালগঞ্জে ১৪৪ জারি ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে সন্ধ্যা নাগাদ সরকারের পক্ষ থেকে জেলাজুড়ে ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়। এদিকে এনসিপির ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে ব্লকড কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিল সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ছাড়া গোপালগঞ্জে চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দিনব্যাপী পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ইউএনওর গাড়িতে হামলা, জেলা কারাগার ও ডিসি বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দুপুর নাগাদ গোপালগঞ্জের যে স্থানে সমাবেশ করেছে এনসিপি, সেই পৌর পার্কের সমাবেশস্থলে ভাঙচুরের পর মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সকালের দিকে সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। প্রায় আধা ঘণ্টার সেই সমাবেশ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার পথে হামলার মুখে পড়ে এনসিপির গাড়িবহর। সেই সময় মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সমাবেশস্থলের চেয়ার ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় চারজন নিহত হন।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, বিকালে চারজনের মরদেহ আনা হয়। তারা গুলিবিদ্ধ ছিলেন, শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতরা হলেনÑ শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০), কোটালীপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রজমান কাজী (১৯), শহরের শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫) এবং সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন। এ ছাড়া আরও ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
দুপুর থেকে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘাতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম) খন্দকার রফিকুল ইসলাম গতকাল রাতে বলেন, এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। তবে এই সংখ্যা বাড়তে পারে। আহত অসংখ্য হলেও সঠিক তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আহত ১৫ জনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর গুরুতর তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
নিহত দীপ্ত সাহার চাচা বলেন, ‘দীপ্ত দুপুরের খাবার খেয়ে তার দোকানে যাচ্ছিল। শহরের চৌরঙ্গীতে তার পেটে গুলি লাগে।’ নিহত রমজান কাজীর বাবা কামরুল কাজী বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলছে। আমার ছেলে তো কোনো দোষ করেনি। আমি আমার সন্তানকে কোথায় পাব?’
সংঘর্ষ চলাকালে হাতবোমা, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের বিকট শব্দ আর ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে আতঙ্কে শহরের অধিকাংশ এলাকায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়া মানুষের চলাচলও সীমিত হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধরা জারি করা হয়। জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণমাধ্যমকে বলেন, জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। গোটা শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সর্বশেষ চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এসব হামলা, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ায় বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন।
এদিকে হামলার বিষয়ে এনসিপি নেতাদের অভিযোগ, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থক ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অনুসারীদের বর্বর হামলা ও ভাঙচুরে জড়িত ছিল। এনসিপির এই পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চলানো হয়। এসবের মধ্যে বুধবার বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় বলে এনসিপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশস্থলের চেয়ারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম রাস্তায় এনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে প্রচুর গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সমাবেশ এলাকায় আগুন জ¦লতে দেখা যায়। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত সরিয়ে দেন। এ সময় তাদের হাতে লাঠি দেখা গেছে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করেন। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদের পিছু হটানোর চেষ্টা চালায়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার মুখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এনসিপি নেতারা তখন জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আছেন বলে বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়। জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এনসিপির একজন নেতাকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়। এ সময় শহরের পৌর পার্কের পাশে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করা হয় বলে সেখানে দায়িত্বরত একজন সাংবাদিক জানান।
এদিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, বিকাল ৪টার দিকে কারাগারের ফটকে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে হামলাকারীরা কারাগারের ভেতর যেতে পারেননি; কারাগারের কোনো আসামিও বাইরে আসতে পারেননি।
এর আগে বেলা পৌনে ২টার দিকে সমাবেশ শুরুর আগে ২০০ থেকে ৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে এনসিপির সমাবেশস্থলে যান। সে সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে দ্রুত আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। একই সময়ে মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে থাকা এনসিপির নেতাকর্মীরাও দৌড়ে সরে যান। যারা হামলা চালান, তারা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে এনসিপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন। এ সময় হামলাকারীরা মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর করেন, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন।
গতকাল সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এসবের মধ্যে বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেরহাট হয়ে মাদারীপুরে যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে ফের হামলা হয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি
এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করেছে অর্ন্তর্বতীকালীন সরকার। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় এ কথা জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, বুধবার রাত ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া অস্থিরতা ও সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারফিউ চলাকালীন জনসাধারণের চলাচল সীমিত থাকবে এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবে না।
সাঁজোয়া যানে করে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ছাড়েন এনসিপি নেতারা সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে করে আটকে পড়া এনসিপির নেতারা গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় ছাড়েন। গতকাল অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম) খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, এনসিপির নেতাকর্মীরা গোপালগঞ্জ এসপি অফিসে আটকা ছিলেন। পরে সোয়া ৫টার দিকে ক্লিয়ার হলে তারা চলে যান।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় চত্বরে এনসিপি নেতাদের সাঁজোয়া যানে ওঠার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে। এক মিনিট পাঁচ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথমে একটি সাঁজোয়া যানের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন এনসিপি নেতা সারজিস আলম, তিনি বেরিয়ে এসে হাসনাত আব্দুল্লাহকে নিয়ে আবার সাঁজোয়া যানে প্রবেশ করেন। সেখানে থাকা সেনাসদস্যরা তাদের সাঁজোয়া যানের ভেতরে ঢুকতে সাহায্য করেন।
সারা দেশে ব্লকড পালনের ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে ব্লকড কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, সারা দেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব ইউনিটকে স্থানীয় ছাত্রসংগঠন, রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের ছাত্রজনতাকে সঙ্গে নিয়ে ব্লকড কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়।
পুলিশ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেনি: আইজিপি
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ধৈর্য ধরে তারা গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছেন। গতকাল তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, উচ্ছৃঙ্খলতা যা হয়েছে, সেটা যতটুকু সম্ভব আমরা ধৈর্যের সঙ্গে প্রশমন করার চেষ্টা করেছি, আমরা রিইনফোর্সড (আরও পুলিশ সদস্য পাঠানো) করেছি, পুরো জিনিসটা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। আমরা লিথ্যাল (প্রাণঘাতী অস্ত্র) কোনো কিছু ব্যবহার করেনি। তাই আমাদের একটু সময় লেগেছে।
আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়: আখতার হোসেন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, গোপালগঞ্জে তাদের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে হামলার পর দলের নেতারা একটি ভবনে নিরাপদে আছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পাশে স্থানীয় একটি ভবনে অবস্থান নিয়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। মাঠে আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছেন। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালাচ্ছে, তারা বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। শুরুর দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্লিপ্ত অবস্থায় দেখেছি। মসজিদের মাইকগুলোতে ঘোষণা দিয়ে সন্ত্রাসীদের একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানায়।
গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় পুলিশের সমালোচনা সারজিসের
গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনার পর একটি ভবনে অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় দলটির নেতা সারজিস আলম সেখানে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। সেখানে অবস্থানের সময় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি অভিযোগ করেছেন, গোপালগঞ্জে খুনি হাসিনার দালালেরা আমাদের ওপরে আক্রমণ করেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে নাটক দেখছে, পিছু হটছে।