গোপালগঞ্জ সদর এলাকায় সংঘর্ষে রমজান মুন্সী(২৮) ও সুমন বিশ্বাস(২০) নামে দুই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাত পৌনে বারোটার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রমজান মুন্সীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এর আগে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সুমন বিশ্বাসকে গুলিবিদ্ধ ঢামেকের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ রমজান মুন্সি পেশায় অটো রিক্সাচালক। তিনি গোপালগঞ্জ সদরের থানাপাড়া এলাকার মৃত আকবর মুন্সির ছেলে। অপরদিকে গুলিবিদ্ধ সুমন বিশ্বাস গোপালগঞ্জ সদরের পাচুরিয়া গ্রামের সুশীল বিশ্বাসের ছেলে। সে একটি পানির কোম্পানির কর্মচারী ছিল বলে জানা গেছে।
আহত রমজান মুন্সির ভাই ইমরান মুন্সি জানান, আমার ভাই অটো রিক্সা চালক। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে অটো রিক্সা নিয়ে ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত ব্যক্তির গুলি তার ডান হাতের কব্জির উপর এবং ডান পাশের বগলে লাগে এবং উক্ত গুলি এখনো শরীরের ভিতরে রয়েছে। খবর পেয়ে আমরা প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে আজ রাতের দিকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি।
অপরদিকে গুলিবিদ্ধ সুমন বিশ্বাসের মা নিপা বিশ্বাস জানান, সুমন বিশ্বাস একটি পানি কোম্পানিতে চাকরি করে। দুপুর দেড়টার দিকে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সংঘর্ষে পড়ে। এ সময় হঠাৎ সুমনের গুলি লাগে। একটি গুলি সুমনের কোমরে ও আরেকটি গুলি তার হাতে লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে সুমনের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা চলছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, গোপালগঞ্জ থেকে আজ সন্ধ্যার দিকে সুমন বিশ্বাস এবং রাত পৌনে বারোটার দিকে রমজান মুন্সী নামে দুই যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগের তাদের চিকিৎসা চলছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।