একটি অটোরিকশা নিয়ে সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন শহরে যাবেন বলে। কিন্তু মাঝপথেই থমকে গেল গাড়ির চাকা, রাস্তা জুড়ে হাটু সমান কাদা। চলার উপায় নেই। অগত্যা, কয়েকজন যুবক মিলে ঠেলে পার করলেন যানটি। এমন দুর্ভোগের দৃশ্য দেখা গেল শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের কুমরী কালিতলা বাজার থেকে কৃষ্ণপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ গ্রামীণ কাঁচা সড়কে। পুরো রাস্তা জুড়ে কেবল কাদা আর খানাখন্দ। বর্ষা এলেই চলাচলের অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ফলে আশপাশের অন্তত পাঁচটি গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কৃষকদের উৎপাদিত ধান ও সবজি পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আনা-নেওয়াতেও পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. বাসিরুজ্জামান বলেন, ‘এ রাস্তাটি দিয়ে চলাচল প্রায় অসম্ভব। বিশেষ করে বর্ষার সময় তো অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারে না, রোগী নিয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। আমরা চাই দ্রুত রাস্তাটি পাকা করা হোক।’
স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই এ এলাকার সড়ক ব্যবস্থা অবহেলিত। অনেক জনপ্রতিনিধি প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ হয়নি। অথচ এই রাস্তা দিয়ে কুমরী তেঘরিয়া ফাজিল মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। তাই আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই। এ সড়কটি দ্রুত পাকা করা হয়।
স্থানীয়দের মতে, বাজিতখিলা থেকে গাজীরখামার সড়কের সংযোগকারী এ রাস্তাটি পাকা হলে অন্তত ৩ হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর হবে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে বরাদ্দ পেলে গুরুত্ব বিবেচনায় এ রাস্তার সংস্কার বা পাকা করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :