সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পৌরসভার ধানগড়া এলাকায় পরিত্যক্ত জায়গায় ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন অসহায় সখিনা বেওয়া (৬৫)। স্বামী ও সম্পদ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এ নারী। নেই জমি-জমা এবং উপার্জনের সামর্থ্য। প্রতিবেশীর শর্ত সাপেক্ষে জমি ব্যবহার করে খড়খুটো ও পলিথিন দিয়ে ঘর তুললেও সেটি এখন প্রায় ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায়।
সখিনা বেওয়া মৃত এতিম আলীর স্ত্রী। প্রায় সাত বছর আগে স্বামীর মৃত্যু হয়। এক ছেলে ও এক মেয়ে থাকলেও ছেলে কোনো খোঁজ রাখেন না। মেয়ে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, তারও রয়েছে ছোট ছোট সন্তান। সব মিলিয়ে অন্যের জমিতে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তারা।
বয়স ও অসুস্থতার কারণে অন্যের বাড়িতে কাজ করাও বন্ধ হয়ে গেছে সখিনা বেওয়ার। সরকারি বিধবা ভাতার টাকাই তার একমাত্র ভরসা। তবে সেটি দিয়ে চলে না সংসার। বৃষ্টি বা ঝড় হলে অস্থায়ী ঘর ভেঙে পড়ার শঙ্কায় সর্বদা আতঙ্কে থাকেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. গোলাম মুক্তাদির বলেন, ‘অসহায় সখিনা বেওয়া পলিথিনে মোড়ানো ঘরেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বর্ষা বা শীতের মৌসুমে ওই ঘরে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তার জন্য একটি টেকসই বাসস্থানের প্রয়োজন। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে তার দুর্দশা কিছুটা লাঘব হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী সখিনা বেওয়া বলেন, ‘আমার পাগলী মেয়ের তিনটা ছোট সন্তান আছে। চিকিৎসার খরচও জোগাতে পারি না। অনেকের কাছে গেছি, কিন্তু একটা ঘরও পাইনি। যে ঘরটা আছে, সেটা ভেঙে গেলে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে। অন্যের জায়গায় বসবাস করছি, সেখান থেকেও উঠতে বারবার চাপ দিচ্ছে।’
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। খুব দ্রুতই তার জন্য যথাসম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন