কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কের পাশে ময়লার স্তূপে নাকাল হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। দুর্গন্ধে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, পরিবেশও হচ্ছে মারাত্মকভাবে দূষিত। এতে করে নানা রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে এলাকাজুড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যস্ততম ভৈরব রেলস্টেশন রোডের পলাশ মোড়েই রয়েছে বড় ময়লার ভাগাড়। এ ছাড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের তাঁতার কান্দি হাজি কাদির সরকার রোডসহ আরও বিভিন্ন সড়কের পাশে ময়লা ফেলা হচ্ছে। প্রতিদিন বাসাবাড়ি ও হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে আনা ৩০-৪০ টন ময়লা এখানে ফেলা হয়। রেলওয়ের বড় পুকুরটির এক-তৃতীয়াংশও এরই মধ্যে ভরাট হয়ে গেছে ময়লায়।
পথচারী ও যাত্রীরা জানান, দুর্গন্ধের কারণে নাক-মুখ চেপে চলতে হয়। এতে শ্বাসকষ্টসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে স্থানীয়দের। বিশেষ করে নর্থ সাউথ কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে, কেউ কেউ বমি পর্যন্ত করে।
অভিযোগ রয়েছে, পৌর কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে এসব স্থানে ময়লা ফেলে জায়গা ভরাট করছে যাতে ভূমিদস্যুরা পরে দখল করতে পারে।
পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, লোকালয়ের ভেতর নয়, বরং নির্জন কোনো স্থানে ময়লা ফেলা হলে মানুষের জীবনে ভোগান্তি কমবে এবং ভৈরবের সৌন্দর্যও রক্ষা পাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন বলেন, ‘ময়লার ভাগাড় সমস্যার সমাধানে নির্দিষ্ট স্থানে ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জমি কেনার প্রক্রিয়া চলছে। জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হলে ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ শুরু হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন