কর ফাঁকির অভিযোগে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটেনের উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার। রেইনারের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ আনা হয়, তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার তাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল শুক্রবার নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে পদত্যাগ করেন রেইনার। দেশটির একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশনে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তিনি একজন মন্ত্রীর নৈতিক মানদ- পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনা প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের জন্য এক নতুন ধাক্কা। ৪৫ বছর বয়সী রেইনার স্টারমারের দল থেকে পদত্যাগ করা অষ্টম এবং সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী।
অ্যাঞ্জেলা রেইনার স্টারমারকে পাঠানো পদত্যাগপত্রে বলেছেন, ‘নতুন বাড়ি কেনার পর কর-সংক্রান্ত বিষয়ে আমি কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিইনি। এ জন্য আমি অনুতপ্ত... আমি এই ভুলের সম্পূর্ণ দায় নিচ্ছি।’
পদত্যাগপত্রের উত্তরে স্টারমার বলেন, সরকার থেকে রেইনারের এমন বিদায়ে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত, তবে তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সাম্প্রতিক জরিপে লেবার পার্টি পপুলিস্ট রিফর্ম ইউকে দলের পেছনে পড়ে গেছে। এর ফলে স্টারমারের নেতৃত্ব ও দলের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনে আরও চ্যালেঞ্জ তৈরি হলো। আগে থেকেই সমালোচকেরা লেবারের পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে দাতাদের কাছ থেকে দামি পোশাক ও কনসার্টের টিকিট নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন।
উপপ্রধানমন্ত্রীর মতো একজন নেত্রীকে হারানো স্টারমারের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর। কারণ, শ্রমজীবী পরিবারের কিশোরী মা থেকে রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ে উঠে আসা রেইনার লেবার পার্টির ডানপন্থী ও বামপন্থী শাখার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছিলেন। স্টারমারের চেয়ে তার জনপ্রিয়তাও বেশি ছিল।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন