ইন্দোনেশিয়ায় সংসদ ভবনের সামনে গণভোজের আয়োজন করেছে বিক্ষোভকারীরা। দেশটিতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা সহিংস বিক্ষোভের পর শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ আয়োজন করে তারা। গতকাল দেশটিতে সরকারি ছুটি ছিল। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজধানীজুড়ে পুলিশ, সেনাসহ ১ হাজার ৩৭১ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাকার্তা পুলিশের মুখপাত্র আডে আরি শ্যাম ইন্দ্রাদি ।
গত সপ্তাহে সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শিক্ষার্থী, শ্রমিক এবং অধিকার সংগঠনের সদস্যসহ বিক্ষোভকারীরা জাকার্তার রাস্তায় নেমে আসেন। এর মধ্যে এক বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় এক ট্যাক্সিচালক নিহত হওয়ার ঘটনায় সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
অধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১০ জন নিহত এবং ১ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। নিউইয়র্কভিত্তিক অধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, দেশজুড়ে চলমান দমন অভিযানে কর্তৃপক্ষ তিন হাজারের বেশি মানুষকে আটক করেছে।
সবশেষ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে সংসদ সদস্যদের ভাতা ও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কৌশল নিয়ে অভিযোগ তোলেন। বৈঠক শেষে ইসলামিক স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হ্যান্ডি মুহাররাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, বেসামরিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে অবিলম্বে পুলিশ সংস্কার করা হোক।’
এ ছাড়া সপ্তাহের শুরুর দিকে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা কিছু সংসদ সদস্যের সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন। তবে এখনো তাঁরা প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর সঙ্গে বৈঠকের দাবি আদায়ে সফল হননি।
ইন্দোনেশিয়ার পদজাদজারান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা ভিনসেন্ট থমাসের এক বক্তব্য প্রচার করে দেশটির কম্পাস টিভি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বনভোজন করি, সৃজনশীল ও উদ্ভাবনীভাবে আমাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করি। আমরা শুধু রাগ করে চিৎকার করি না, বরং শান্ত, সৃজনশীল উপায়ে আমাদের ক্ষোভ প্রকাশ করি।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন