প্রেসিডেন্টবিরোধী বিক্ষোভে আবারও উত্তাল তুরস্ক। তুরস্কে প্রধান বিরোধী দলের ওপর সরকারি দমন-পীড়নের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন। এরই প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি করে রাজধানী আঙ্কারায় বিশাল সমাবেশ করেছে রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)। রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবিতে রোববার রাজধানী আঙ্কারার রাজপথে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। দেশটির প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টিÑসিএইচপির কংগ্রেস নীতিমালা বাতিল নিয়ে চলমান মামলা স্থগিতের দাবিতে শুরু হয় এই বিক্ষোভ। এ সময় আন্দোলনকারীরা পতাকা হাতে সরাসরি স্লোগান দেন প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে।
বিক্ষোভকারীদের মতে, গত এক বছর ধরে বিরোধী পার্টি সিএইচপির সদস্য ও সমর্থকদের ওপর আইনি দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আঙ্কারা প্রশাসন। চলমান মামলার রায়ের জেরে ক্ষমতাচ্যুত হতে পারে বিরোধীদলীয় প্রধান। যিনি বর্তমানে কারাগারে অবস্থান করছেন।
সেখান থেকে পাঠানো এক বার্তায় ইমামোগলু জানান, সরকার পরবর্তী নির্বাচনের ফলাফল পূর্বনির্ধারণের চেষ্টা করছে। এতে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচারিক পদক্ষেপ এবং ভিন্নমত দমনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার অভিযোগও করেন। আঙ্কারার সমাবেশে উচ্চস্বরে জানানো হয় এই বার্তা।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে বিরোধীদলীয় নেতা একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই শুরু হয় তুরস্কের রাজনৈতিক অস্থিরতা। এর ফলে দেশটির মুদ্রা লিরার ক্রমাগত দরপতন ঘটতে থাকে। নড়বড়ে হয়ে যায় দেশটির অর্থনীতি। আঙ্কারার তানদোগান স্কয়ারে আয়োজিত এই গণসমাবেশে অংশ নেন কয়েক লাখ মানুষ। সমাবেশস্থলে তুরস্কের জাতীয় পতাকা এবং সিএইচপির ব্যানার হাতে উপস্থিত জনতা এরদোয়ানের বিরুদ্ধে জোরালো স্লোগান দেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সিএইচপির বহু নেতা ও স্থানীয় সরকার কর্মকর্তা, বিশেষ করে মেয়রদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু, যিনি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন