ম্যানচেস্টার ডার্বিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালেন আর্নিং হলান্ড। তার জোড়া গোলে ম্যানচেস্টার সিটি ৩-০ ব্যবধানে হারায় নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইডেটকে। ইংলিশ লিগের অপর ম্যাচে বার্নলির বিপক্ষে ১-০ গোলে লিভারপুলকে নাটকীয় জয় এনে দেন মোহাম্মদ সালাহ।
ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ঘরের মাঠে ম্যানইউর বিপক্ষে সিটিকে পাওয়া গেল চেনা ছন্দে। তাদের হয়ে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন ফিল ফোডেন। তাকেও দেখা গেল দারুণ ছন্দে। তবে রাতটা ছিল আসলে আর্লিং হলান্ডময়। পুরো মাঠজুড়ে খেলেছেন। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করে দলকে দারুণ জয় এনে দেন। এই ম্যাচের সময় হয়তো কোথাও থেকে ইতিহাদের দিকে তাকিয়ে হাসছিলেন রিকি হ্যাটনও। ব্রিটিশ বক্সিং কিংবদন্তি, সিটির গর্বিত সমর্থক। ম্যানচেস্টার ডার্বির মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি মারা যান। জানা যায়, ম্যাচে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তার। মৃত্যুর খবর আসার পরপরই ক্লাব তার জন্য আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে সিটি। এমন আবেগঘন এক দিনে সিটির এই পারফরম্যান্স দেখে হ্যাটন নিশ্চয়ই গর্বিত হতেন। আর এই জয়টাও সিটির খুব দরকার ছিল। শিরোপা লড়াইয়ে থাকতে হলে এই ম্যাচটা জিততেই হতো কোচ পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের। আন্তর্জাতিক বিরতির আগে টানা দুই হারের ধাক্কা পেছনে ফেলে আবার যেন বিধ্বংসী রূপে ফিরছে সিটি। ম্যানইউ খুব একটা খারাপ খেলেনি। ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার সময় ব্রায়ান এমবেউমোর শটটা যদি জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা ঠেকিয়ে না দিতেন, হয়তো ম্যাচে ফিরেও আসতে পারত তারা।
প্রিমিয়ার লিগে এ নিয়ে দশম ম্যানচেস্টার ডার্বি জিতলেন কোচ পেপ গার্দিওলার। দুই কিংবদন্তি কোচÑ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন (২০) ও ম্যাট বাসবির (১৫) পর এই তালিকায় তিনি এখন তৃতীয়। অন্যদিকে, হল্যান্ডকে থামাতে গিয়ে যেন ভয়ই পাচ্ছিল ইউনাইটেডের রক্ষণভাগ। ডার্বি জিততে হলে জান দিয়ে লড়তে হবে, ম্যাচের আগেই বলেছিলেন। নিজেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন সেই লড়াইয়ে। এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ৪ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা এখন ৫। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৬ ম্যাচে ১১ গোল! গত ১০ দিনেই করেছেন ৮ গোল।
অপর ম্যাচে আরও একবার নাটকীয়ভাবে জিতল লিভারপুল। বার্নলির বিপক্ষে টার্ফ মুরে লিভারপুলের জয়ের নায়ক সালাহ। টানা চতুর্থ ম্যাচ জিতে এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে একমাত্র দল হিসেবে শতভাগ জয়ের রেকর্ডটা ধরে রেখেছে লিভারপুল। লিগে লিভারপুলের আগের তিনটি জয়ও এসেছিল ম্যাচের ৮৩ মিনিটের পর গোল করে। এদিনও সেই ধারা ভাঙল না। পুরো ম্যাচে বার্নলি লড়াই করে দারুণ। শেষ দিকে লেসলি উগোচুকু দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেও তারা হাল ছাড়েনি। কিন্তু ভাগ্য যে ফাঁদ পেতে বসে ছিল। শেষ সময়ে জেরেমি ফ্রিমপংয়ের ক্রস গিয়ে লাগে হ্যানিবাল মাজব্রির হাতে। পেনাল্টি। সালাহ নিজের নেওয়া সর্বশেষ দুটি পেনাল্টি মিস করেছিলেন। কিন্তু এবার ঠান্ডা মাথায় গোল করলেন। অ্যান্ড্রু কোলকে টপকে প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় উঠে গেলেন চতুর্থ স্থানে (১৮৮ গোল)।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন