বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


হাসানুর রহমান তানজির, খুলনা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০১:৩১ এএম

সড়ক উন্নয়নে জনদুর্ভোগ

হাসানুর রহমান তানজির, খুলনা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০১:৩১ এএম

সড়ক উন্নয়নে জনদুর্ভোগ

*** খুলনা জেলা ও মহানগর
*** খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে তিনগুণ হলেও কাজ শেষ হয়নি এক যুগেও
*** ভাঙাচোরা সড়কে যানজটে বিপর্যস্ত নগরজীবন
*** অবিলম্বে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ

খুলনা জেলা ও মহানগরে সড়ক উন্নয়নের নামে একের পর এক প্রকল্প নেওয়া হলেও স্বস্তির বদলে নাগরিকদের ভোগান্তিই বেড়েছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ও এলজিইডিসহ একাধিক সংস্থা সমন্বয়হীনভাবে কাজ করায় কোথাও কাজ চলছে বছরের পর বছর ধরে, কোথাও মাঝপথে থেমে আছে, আবার কোথাও সংস্কার হলেও পুরো সড়ক ব্যবহারের অনুপযোগী। নাগরিক সমাজের অভিযোগ, উন্নয়নের নামে ধুলোবালি, গর্ত আর অর্ধসমাপ্ত কাজই খুলনাবাসীর ভাগ্যে জুটছে। কেউ কেউ মাছ অবমুক্ত করে, কেউ ধান রোপণ করে প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার না করলে পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তাই অবিলম্বে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সওজের অধীন খুলনা-সাতক্ষীরা, খুলনা-যশোর, খুলনা-মোংলা মহাসড়ক ও শহরের প্রধান সড়কগুলোতে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের ৩০ কিলোমিটার অংশে এক বছর ধরে কাজ বন্ধ। খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে তিনগুণ হলেও কাজ শেষ হয়নি এক যুগেও। গল্লামারী সেতুর কাজ দেরি হওয়ায় প্রতিদিনই যানজটে বিপর্যস্ত নগরজীবন। সওজ, কেডিএ, কেসিসি, এলজিইডি ও ওয়াসার মতো সংস্থার মধ্যে সমন্বয় না থাকায়ও প্রকল্পগুলো দুর্ভোগের এক-একটি কেন্দ্রে রূপ নিয়েছে। দেখা গেছে, কেসিসি যেখানে সংস্কার করছে, ওয়াসা সেখানে খুঁড়ছে, কেডিএ যেখানে সড়ক নির্মাণ করছে, অন্য কোনো সংস্থা সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি করে পাইপ বসাচ্ছে।

যাত্রী আব্দুল কাদের বলেন, বৃষ্টি হলে এসব সড়কে গর্ত দেখা যায় না, শুকনো মৌসুমে ধুলায় দম বন্ধ হয়ে আসে। প্রতিদিন আতঙ্কে চলাচল করতে হয়। গাড়ি চালক সেলিম শেখের অভিযোগ, রাস্তার গর্তগুলো যেন ফাঁদ, দুর্ঘটনা এড়ানো মুশকিল।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, কেডিএ, কেসিসি, ওয়াসা, সওজসহ বিভিন্ন সংস্থা আলাদাভাবে কাজ করছে। কিন্তু কোথাও নেই সমন্বয়। উন্নয়নের নামে নাগরিক দুর্ভোগ কমছে না, বরং বেড়েই চলছে।

আরও জানা যায়, খুলনা জিরো পয়েন্ট থেকে আঠারো মাইল পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কে চালকরা যানবাহন চালাচ্ছেন ঝুঁকি নিয়ে। এর মধ্যে কৈয়াবাজার পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। সওজ অধিদপ্তরের অধীন গল্লামারী সেতুর কাজ শুরুর পর থেকে মহানগরের প্রধান সড়ক প্রায় প্রতিদিনই অচল হয়ে যায়। রাস্তার একপাশ বন্ধ থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে যানবাহন। এ সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছরের জুনে। পরে দুই দফা সময় বাড়িয়ে এখন ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত টেনে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় বেড়েছে তিনগুণ ৯৯ কোটি থেকে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৫৪ কোটি টাকায়।

নাগরিকরা ক্ষুব্ধ হলেও কর্তৃপক্ষ দায় চাপাচ্ছে ঠিকাদারের ওপর। এরই মধ্যে দুর্নীতি অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক। এ ছাড়া সওজ অধিদপ্তরের রূপসা সেতু বাইপাস, কেসিসির বাস্তুহারা বাইপাস, সোনাডাঙ্গা ময়ূর ব্রিজ সড়ক, খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে রমজানের ব্রিজ সড়ক শহরে সকল প্রবেশদ্বারে একই চিত্র। খানাখন্দ, গর্ত আর অর্ধসমাপ্ত প্রকল্পের কারণে যাতায়াতে প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।

খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, খুলনায় সড়ক উন্নয়নের নামে কেবল ধুলোবালি আর ভাঙা রাস্তাই আমাদের ভাগ্যে জুটছে। উন্নয়নের নামে অভিশাপ ভর করেছে।

সড়ক ও জনপথ খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বৃষ্টি পরবর্তিতে রাস্তায় যদি গর্ত হয়ে যায় সেখানে আমরা রিপিয়ার করি। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। এখনো আমাদের রিপিয়ার কার্যক্রম চলছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!