বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০১:৪১ এএম

ধীরগতির বাঁধ নির্মাণ

জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে ছয় ইউনিয়ন

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০১:৪১ এএম

জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে ছয় ইউনিয়ন

  • ২০২১ সালে ৩১ কিমি বাঁধ প্রকল্প হাতে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড
  • ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ
  • অন্তত চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ রেখেছে

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙন ও জোয়ারের পানিতে জনপদ রক্ষায় নেওয়া তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ ধীরগতির কারণে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। ২০২১ সালের আগস্টে তিন হাজার ৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩১ কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ বাঁধ প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হতে চললেও কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ৩৪টি প্যাকেজে ৯৭টি লটের আওতায় ১৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ পায়। কিন্তু অন্তত চারটি প্রতিষ্ঠান এক বছরের বেশি সময় ধরে কাজ বন্ধ রেখেছে। মেসার্স এসএসইসিএল, এডব্লিউআরডিএল, বিশ্বাস বিল্ডার্স ও ইলেকট্রো গ্রুপের কাজ প্রায় অচল অবস্থায় রয়েছে। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরগতিতে কাজ করছে।

এতে কমলনগর শহরসহ চরফলকন, চরলরেন্স, চরমার্টিন, চরকালকিনি, পাটারীরহাট ও সাহেবেরহাট ইউনিয়ন ঝুঁকিতে পড়েছে। এরই মধ্যে এসব ইউনিয়নের অনেক এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। প্রতি জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন হাজারো মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তীররক্ষা বাঁধ সম্পন্ন না হওয়ায় তাদের প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। চরকালকিনির বাসিন্দা আরিফ বলেন, ‘কিছুদিন আগে জোয়ারে গ্রাম ডুবে যায়, অন্তত ৩০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’ একই গ্রামের আবদুস ছালাম জানান, ‘বর্ষা এলেই আতঙ্কে থাকতে হয়।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, কাজে অনুপস্থিত ঠিকাদারদের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ সম্পন্ন করা হবে।

এদিকে, জোয়ারের পানিতে ছয় ইউনিয়নের প্রায় ৬০ শতাংশ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল কাদের মোজাহিদ জানান, ভাঙা সড়কের তালিকা করা হলেও বরাদ্দের অভাবে সংস্কার করা যাচ্ছে না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার সাহার মতে, ৭০০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কের মধ্যে ৩৫০ কিলোমিটারই ক্ষতিগ্রস্ত।

কমলনগর উপজেলা জেএসডির সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম বাবুল মুন্সী বলেন, ‘বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় আমাদের দুর্ভোগ যেন চিরস্থায়ী হয়ে গেল।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!