রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ১১:৩৫ পিএম

প্রজ্ঞা-আত্মার বৈঠকে বক্তারা

তামাকমুক্ত প্রজন্ম গড়তে শক্তিশালী আইন প্রয়োজন

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ১১:৩৫ পিএম

তামাকমুক্ত প্রজন্ম গড়তে শক্তিশালী আইন প্রয়োজন

  • দেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশই ঘটে তামাকের কারণে
  • তামাকের ব্যবহারে প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ জনের মৃত্যু 

তামাক বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে একটি বাধা হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে অসংক্রামক রোগে মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবচেয়ে বড় বাধা তামাক। দেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশই ঘটে হৃদরোগ, ক্যানসারসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে, যার অন্যতম প্রধান কারণ তামাক। প্রতিদিন গড়ে ৪৪২ জন মানুষ মারা যায় তামাকের কারণে। এই ব্যাপক মৃত্যু হ্রাস, এসডিজি অর্জন এবং তামাকমুক্ত সুস্থ প্রজন্ম গড়তে আইন শক্তিশালীকরণের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ, ডাক্তার, জনস্বাস্থ্যবিদ ও সাংবাদিকসহ বিশেষজ্ঞগণ। 

গতকাল শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) আয়োজিত ‘তামাকমুক্ত প্রজন্ম: আইন শক্তিশালীকরণে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব বিষয় উঠে আসে।

গোলটেবিল বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশে ১৫ বছর থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি। এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে তামাকের ছোবল থেকে সুরক্ষার জন্য তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপমুক্ত একটি শক্তিশালী আইন এবং এর কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি।

আরও জানানো হয়, তামাক ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে অন্তরায়। তামাকের ক্ষতি বিবেচনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০২১ সালে এফসিটিসির আলোকে আইন শক্তিশালীকরণের উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন উপদেষ্টা কমিটি খসড়া সংশোধনীতে প্রয়োজনীয় পরিমার্জনের কাজ করছে। কিন্তু তামাক কোম্পানিগুলো অব্যাহতভাবে আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে। তামাক কোম্পানির কোনো অপতৎপরতায় বিভ্রান্ত না হয়ে খসড়া সংশোধনীটি দ্রুত পাস করার দাবি জানান বক্তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘তামাকের ক্ষতি বহুমাত্রিক। বর্তমান সরকার অনেক রিফর্ম করছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংস্কার করলে এটা হবে সরকারের জন্য একটি সিগনেচার রিফর্ম।’

তামাক ব্যবহারের ফলে ক্যানসারে আক্রান্ত ভুক্তভোগীদের অভিজ্ঞতা বিনিময় পর্বটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক। তিনি বলেন, ‘আমরা ভুক্তভোগীদের আর্তনাদ শুনলাম। এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আমরা আর শুনতে চাই না। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুরক্ষায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে খসড়া সংশোধনীটি পাস করতে হবে।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘অসংক্রামক রোগের প্রকোপ মোকাবিলায় শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কোনো বিকল্প নেই, খসড়া সংশোধনীটি দ্রুত পাসের দাবি জানাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আত্মা’র কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন ও প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়েরসহ বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ। আত্মা’র কো-কনভেনর নাদিরা কিরণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র তামাক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!