বরগুনায় ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু 

ডেঙ্গুর রেডজোন খ্যাত বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া চারজন হলেনÑ পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রামের সুজন ঢালীর মেয়ে শুক্লা ঢালী (১৩), একই ইউনিয়নের আমড়াতলা এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে হাসান (২৫), কাকচিড়া ইউনিয়নের হরিদ্রা এলাকার নাসির মোল্লার ছেলে সিদ্দিক মোল্লা (৪৫) এবং পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের রুহিতা এলাকার আব্দুর রশিদ মোল্লার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৭৫)। 

মৃতদের মধ্যে সিদ্দিক মোল্লা ও নুরজাহান বেগম পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। হাসানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নেয়ার পথে এবং শুক্লা ঢালী নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন অফিস তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসারত অবস্থায় মোট ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে বরগুনা জেলায়। জেলায় সরকারি হিসাব মতে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৯২৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৩৫ জন। 

ডেঙ্গুর পাথরঘাটার পরিস্থিতি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাখাল বিশ্বাস অপূর্ব বলেন, ‘বৃষ্টি যখন থেকে কমছে এরপর থেকেই পাথরঘাটায় শুরু হয়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর চাপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত জ্বর নিয়ে রোগী আসছে চিকিৎসা নিতে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি চিকিৎসা দিতে, তবে পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে। কিছুতেই তা নিয়ন্ত্রণে আসছে না।’

বরগুনার ডেঙ্গুর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফাত্তাহ্ বলেন, ‘চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। বিশেষ করে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারপরও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।’