আমাদের দেশের প্রধান কয়েকটি সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি একদিকে যেমন জনজীবনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে, অন্যদিকে অর্থনীতিতে বয়ে আনছে বিপর্যয় ও অমানিশার ঘোর অন্ধকার। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা, লেখালেখি ও নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। হাসিনা সরকারের দেড় দশক শাসনকাল থেকে দ্রব্যমূল্যে লাগামহীন বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ধারা এখনো অব্যাহত আছে। বিগত সরকার দ্রব্যমূল্যর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করলেও মূল রহস্য আরও গভীরে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক হারে দুর্নীতি ও লুটপাট শুরু হয় ২০১৪ সালের অবৈধ ও একতরফা নির্বাচনের পর।
একই সঙ্গে শুরু হয় সরকার ও ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে অবৈধ সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের কারসাজি, জ্বালানির দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি, কর শুল্ক বৃদ্ধি, ব্যাপক চাঁদাবাজি, ডলার ও রিজার্ভ সংকট অর্থনৈতিক দুরবস্থা, বাণিজ্য ভারসাম্য এবং দুর্নীতিবাজ কর্তৃক অব্যাহতভাবে টাকা পাচার করার দরুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে যায়। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় ‘সুইফ’ কোড হ্যাকিং করে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার রিজার্ভ বিদেশে পাচার করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বিদেশে পাচার হওয়ায় রিজার্ভের পরিমাণ হ্রাস পায়। দেশে ক্রমাগত রিজার্ভের পতন শুরু হওয়ার ফলে অল্প কিছু দিনের মধ্য ডলার সংকট দেখা দেয়। সর্বোপরি, রিজার্ভে ভাটা ও ডলার সংকটের কারণে আমদানি সংকোচন করা হয়।
আমদানি সংকোচিত হলে বাজারে পণ্যের সংকট ও পণ্যদ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। হাসিনার দেড় দশকের শাসনকালে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা ও সংকটের অন্যতম কারণ হচ্ছে বিদেশে টাকা পাচার। বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংস্থার মতে টাকা পাচারের পরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকা। পণ্যদ্রব্য আমদানির আড়ালে প্রতিনিয়ত আন্ডার ইনভয়েস, ওভার ইনভয়েসের এবং হুন্ডির মাধ্যমে এ বিপুলসংখ্যক টাকা পাচার করা হয়। তৎকালীন সরকারের বড় বড় ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, আমলা, এমপি-মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বিদেশে মাত্রাতিরিক্ত টাকা ও ডলার পাচার করার কারণে সংকটের মাত্রা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। এতে ব্যাংক ও একচেঞ্জ হাউসগুলোয় টাকা ও ডলার সংকট দেখা দেয়।
ফলে ডলারের দাম বাড়ে এবং টাকার মূল্য কমে যায়। বিগত সরকারের যোগসাজশে ঋণের নামে অবাধে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়। বড় বড় ব্যাংকের পরিচালক, চেয়ারম্যান ও শিল্প গ্রুপের মালিকরা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ব্যাংকের প্রায় ৭ লাখ ৫০ কোটি টাকা ঋণের নামে আত্মাসাৎ করে। এই টাকা খেলাপি হয়ে যায়। সরকারের যোগসাজশে বাংলাদেশ ব্যাংক মূলত ব্যবসায়ীদের এ সুযোগ করে দেয়। তৎকালীন অবৈধ সরকার ঋণগ্রহীতাদের ঋণখেলাপি কম দেখানোর জন্য অবৈধ ঋণগুলো বারবার পুনঃতপশিলের সুযোগ করে দেওয়ার দরুন ঋণখেলাপিরা আরও বেশি সুযোগ পেয়ে যায়। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তারুল্য সংকটে পতিত হয়।
সরকার ব্যাংকের তারুল্য সংকট মোকাবিলা করার জন্য বারবার টাকা ছাপিয়ে তারুল্য সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়। নতুন টাকা ছাপিয়ে তারুল্য পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হলেও এর মাধ্যমে দেশের দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়, যা স্মরণকালের সর্বোচ্চ হারকে অতিক্রম করে। সরকারের এহেন কার্যকলাপে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় ডলার সংকট, টাকার সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করলে দেশের ব্যাংকগুলোকে আমদানি-রপ্তানির দায় মেটাতে হিমশিম খেতে হয়।
ডলারের দাম বাড়তে বাড়তে প্রতি ডলারের বাজার মূল্য ১২০ টাকা অতিক্রম করে। ক্রমাগত ডলারের দাম বাড়া ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের অবিরত কারসাজির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কয়েক দফা বেড়ে মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়। প্রতিদিন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে। তার ওপর জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য সরকারকে তেল ও গ্যাস আমদানি করতে প্রচুর টাকা ব্যয় করতে হয়। জ্বালানির দাম বাড়ার সঙ্গে জড়িত কলকারখানার উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং পরিবহনে খরচ বৃদ্ধি পায়। ফলে আরেক দফা বেড়ে যায় নিত্যপণ্য জিনিসপত্রের দাম। সরকার রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে বারবার তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ায়। অতিরিক্ত জ্বালানির দাম বাড়ানোর কারণে কলকারখানার উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়। ফলে বহুসংখ্যক শিল্প কলকারখানা উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির চাপ নিতে না পেরে বন্ধ হয়ে যায়।
সে সময় দুর্নীতি, লুটপাট বাংলাদেশের ইতিহাসে সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়। সীমাহীন দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচারের কারণে দেশের মধ্য অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়। দেশের এই অর্থনৈতিক দুরবস্থার ফলে সরকারকে বাধ্য হয়ে বিদেশি ঋণ নিতে হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণের বোঝা জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যায়। বিগত সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বর্তমানে নি¤œ ও মধ্যবিত্তদের বাজার করা আর্থিক ও মানসিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাদের আলুভর্তা ও ডিম-ডাল দিয়ে কোনোভাবে দুবেলা চলত, তারাও এখন প্রায় নিরুপায়। দামের কারণে পুষ্টির চিন্তা দূরে থাক, ডাল-ভাত জোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, ময়দা, মসলাসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে নি¤œ ও মধ্যবিত্তের অনেকের খাবারের তালিকা থেকে মাংস আগেই বাদ পড়েছে। ‘গরিবের প্রোটিন’খ্যাত ডিমও এখন দামের দিক থেকে আর গরিবের নেই। আমিষের স্বাদ নিতে অনেকে তেলাপিয়া-পাঙাশের মতো স্বল্প-মূল্যের মাছ কিনতেন; তাও এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। খাদ্যপণ্য কৃষক থেকে ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে চার থেকে পাঁচবার হাতবদল হয়। এতেই দুই থেকে চারগুণ দাম বেড়ে যায়। বস্তুত ফরিয়া তথা মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, আড়ত এবং সড়কে চাঁদাবাজি দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলছে। খুচরা বাজারে পণ্যের দাম বাড়লেও কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। তারা অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
অন্যদিকে ভোক্তাকে কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ক্রটিপূর্ণ বাজারব্যবস্থার কারণেই মূলত মধ্যস্বত্বভোগী লাভবান হলেও মাঠে কৃষক ও বাজারে ভোক্তারা ঠকছেন। তাদের মতে, দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হলে দালাল-ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য এবং পথে পথে চাঁদাবাজি বন্ধের কোনো বিকল্প নেই। আবার সরকার জ্বালানির মূল্য একলাফে ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি করলে পরিবহন খরচ অতিরিক্ত বেড়ে যায়। তেলের দাম বৃদ্ধির আগে উত্তরবঙ্গ থেকে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ আসতে ট্রাক ভাড়া লাগত ১ হাজার ২০০০ হাজার টাকা। বর্তমানে সেই ভাড়া ৩৫ হাজার টাকা।
তবে বছরের পর বছর এমন চিত্র দেখা গেলেও সংশ্লিষ্টরা প্রায় নির্বিকার। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির আরেকটি প্রধান কারণ হচ্ছে সব আমদানি দ্রব্যে অতিরিক্ত কর, শুল্ক আরোপ। তৎকালীন সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যা না খেয়ে মানুষ জীবন ধারণ করতে পারে না, সেসব পণ্যর ওপর সুকৌশলে অতিরিক্ত ভ্যাট, ট্যাক্স ও শুল্কারোপ করেছে। বিদেশ থেকে আমদানি ( নিত্যদ্রব্য, ফল, মসলা, প্রসাধনী, যন্ত্রপাতি, মেশিনারি ) প্রায় সব পণ্যর ওপর অতিরিক্ত হারে ভ্যাট ট্যাক্স ও শুল্কারোপ করা হয়েছে। জনগণের সেই ট্যাক্সের টাকা সরকার বড় বড় মেগা প্রকল্পে উন্নয়নের দোহাই দিয়ে বিদেশে পাচার করেছে।
যে টাকার পরিমাণ ২২ লাখ কোটি টাকা। এ টাকার দায় জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা জনগণের পকেট থেকে প্রতিনিয়ত কেটে নেওয়া হচ্ছে। সরকারের আয় বাড়াতে নজর দিয়েছে ভ্যাট, ট্যাক্স কর ও আমদানি শুল্কের ওপর। আমদনি করলেও জনগণ ট্যাক্স দিচ্ছে, রপ্তানি করলেও জনগণ ট্যাক্স পরিশোধ করতেছে। ভ্যাট, কর ও শুল্ক কাটার পর আছে ব্যবসায়ী-মন্ত্রী সিন্ডিকেট। ব্যবসায়ী-মন্ত্রী সিন্ডিকেটে জড়িতরা প্রতিটি আমদানি পণ্যে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জনগণের কাছ থেকে কৌশলে কেটে নিচ্ছে। দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনকালে অব্যাহত দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে রাষ্ট্রীয় কোষাগার খালি হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বিগত সরকার তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় এবং অতিরিক্ত কর শুল্কারোপ করে। বড় বড় মেঘা প্রকল্প হাতে নিয়ে বিদেশি ঋণে জড়িয়ে পড়ে।
বিগত সময়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ছিল মন্ত্রী-ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। ব্যবসায়ী-মন্ত্রী সিন্ডিকেট ছাড়া অন্য কেউ চাল, চিনি, তেল, মসলা, ফল, যন্ত্রপাতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানি করতে পারত না। সরকারের আস্তাভাজন বড় শিল্পপতিরা যারা সরকারকে ফায়দা দিতে পেরেছে, সেই ব্যবসায়ীরাই কেবল বিদেশ থেকে নিত্যপণ্যসহ অন্য দ্রব্যাদি আমদানি করতে পেরেছে। প্রত্যেক নিত্যপণ্য দাম বাড়ার সঙ্গে পতিত সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী ব্যবসায়ীদের যোগসাজশ ছিল। যেটা তৎকালীন সরকারের প্রতি মন্ত্রী কামাল আহমদ মজুমদার অকপটে স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, সরকারের ভেতর একটা সিন্ডিকেট আছে। এ সিন্ডিকেটের ভাগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নেতা ও মন্ত্রীরা পায়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির একাধিক কারণের মধ্য ডলার সংকট, রিজার্ভ পতন, টাকা পাচার, অবৈধ সিন্ডিকেট, মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য, পরিবহনে চাঁদাবাজি, কর শুল্ক বৃদ্ধি, দফায় দফায় জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত গ্যাস বিদ্যুতের অভাব, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, ব্যবসায়ী-মন্ত্রী সিন্ডিকেট ও অতিরিক্ত হারে কর শুল্ক বৃদ্ধির কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম স্মরণকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১০.৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির কথা বলা হলে ও বাস্তবে এর পরিমাণ আরও বেশি। বিগত সরকার দাম বাড়ার কারণ হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে আন্তর্জাতিক বাজারে একদফা দাম বাড়লে তৎকালীন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা কয়েক দফা দাম বাড়িয়ে দেয়। অথচ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ৬ মাস পর আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম একে বাড়ে নিম্ন পর্যায়ে চলে গেলেও এ দেশে দাম কমার লক্ষণ দেখা যায়নি।
এ দেশে যে জিনিষের দাম একবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, বাজারে সেই দ্রব্যের দাম কমার চিত্র দেখা যায়নি। অন্যদিকে সরকারি প্রশাসনগুলো জনগণকে দেখানোর জন্য (আইওয়াশ) মাঝেমধ্য অসাধু অতিরিক্ত মুনাফালোভী ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে গুটি কয়েকজন চুনোপুঁটিকে শাস্তি দিলেও বড় ব্যবসায়ী, মন্ত্রী যারা সরকারের সঙ্গে যোগসাজশে পণ্যর দাম বৃদ্ধি করত তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সরিষার মধ্য ভূত থাকলে তাড়াবে কে।
জিনিসপত্রের দাম হ্রাসের জন্য সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে নি¤েœাক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত, বড় আওয়ামী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। দ্বিতীয়ত, জ্বালানির দাম কমাতে হবে এবং তেলে ৪৫ শতাংশ কর শুল্ক উঠিয়ে নিতে হবে। তৃতীয়ত, পরিবহনে ব্যাপক চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। তাহলে সবকিছুর দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন
লেখক, সংস্কারক, প্রাবন্ধিক
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন