সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫, ১২:২৬ এএম

উত্তরায় গৃহবধূ বিথী হত্যা

সুদের বোঝায় অশান্তি থেকেই স্ত্রীকে হত্যা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫, ১২:২৬ এএম

সুদের বোঝায় অশান্তি থেকেই স্ত্রীকে হত্যা

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টে একটি ওয়ার্কশপে মেকানিকের চাকরি করেন বাবুল মিয়া। যা বেতন পান তার বেশির ভাগই চলে যায় সুদ চুকাতে। বাকি টাকা দিয়ে টানাপোড়েনে চলে সংসার। সেই সঙ্গে প্রতিদিনই পাওনাদাররা সুদের টাকার জন্য তার স্ত্রী বিথী আক্তার বিলকিসকে চাপ দিতে থাকে। ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ঋণের সুদের বোঝা ডেকে আনে পরিবারে অশান্তি। স্ত্রীর সঙ্গেও তিক্ততার সম্পর্ক তৈরি হয় বাবুলের। এভাবে ৬ বছর চলার পর পারিবারিক অশান্তি থেকে রেহাই পেতে স্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন বাবুল। সে অনুযায়ী, ৫০ হাজার টাকার চুক্তিতে ৩ বন্ধুকে ভাড়া করে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে স্ত্রীকে হত্যা করে উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের কাঁশবনে ফেলে রাখে। 

গতকাল রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি মুহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে হত্যাকা-ে জড়িতদের মধ্যে নিহতের স্বামী বাবুল মিয়া ও তার সহযোগী মো. সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে বাবুলকে এবং একই দিন মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের কালাপানি এলাকা থেকে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনই হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করেছেন। 

ডিসি মুহিদুল আরঢ জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিথী আক্তার নিখোঁজ হন। তার মা মনোয়ারা বেগম এ বিষয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে তুরাগ থানাধীন রাজউকের ১৭ নম্বর সেক্টরের খেলার মাঠে কাশবনের মধ্যে একটি অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। মনোয়ারা বেগম সেখানে গিয়ে তার মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। এই ঘটনার পর তার অভিযোগের ভিত্তিতে তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। 

তিনি বলেন, মামলার পর তুরাগ থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে হত্যাকা-ে জড়িত চারজনকে শনাক্ত করা হয়। পলাতক দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ডিএমপি কর্মকর্তা জানান, নিহত বিথী আক্তার এবং তার স্বামী বাবুল প্রায় ছয় বছর ধরে দাম্পত্য কলহে ভুগছিলেন। এর পেছনে প্রধান কারণ ছিল ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার সুদের ঋণ। বাবুল ক্যান্টনমেন্টের ৭০৩ সেন্ট্রাল ওয়ার্কশপে চাকরি করে মাসে প্রায় ৩১ হাজার টাকা বেতন পান, যার বেশির ভাগই সুদের টাকা দিতে খরচ হয়ে যেত। এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। 

জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল পুলিশকে জানিয়েছেন, সুদের পাওনাদারদের কারণে তার স্ত্রী ঠিকমতো ঘুমাতে বা খেতে পারতেন না এবং এ নিয়ে প্রায়ই বকাঝকা করতেন। এ ছাড়া, স্ত্রীর বিরুদ্ধে তার ভাই বা অন্য কাউকে টাকা দেওয়ার সন্দেহও ছিল, যা তাদের কলহকে আরও চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়। বাবুল আরও স্বীকার করেন যে, গত দুই-তিন মাস আগে তিনি তার স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং সম্রাটসহ আরও দুজনের সহায়তায় হত্যাকা-টি ঘটান। হত্যাকা-ের পর সম্রাটকে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাবুল, যদিও তিনি জানান তার স্বল্প বেতনের কারণে সেই টাকা কিস্তিতে পরিশোধের কথা বলেছিলেন। 
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!