সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫, ০১:৫৪ এএম

শার্শা-বেনাপোলে চলছে প্রতিমায় রঙের আঁচড়

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫, ০১:৫৪ এএম

শার্শা-বেনাপোলে চলছে  প্রতিমায় রঙের আঁচড়

বর্ষার দিনগুলো ফুরিয়ে প্রকৃতিতে এখন নীলাকাশ আর কাশফুলের শুভ্রতা। পঞ্জিকার পাতায় দুর্গোৎসবের ধ্বনি। দেবী দুর্গাকে বরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত প্রতিমা শিল্পীরা। এদিকে কাক্সিক্ষত মজুরি না থাকায় অনেকেই ছেড়ে দিয়েছেন বাপ-দাদার এ পেশা, তাই চাইলেন সরকারি আর্থিক সহযোগিতা। আর দুর্গোৎসব ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে। কারিগরদের দম ফেলার ফুসরত নেই। এরই মধ্যে প্রতিমার গায়ে পড়েছে রঙের আঁচড়। সারা দেশের মতো যশোর জেলার শার্শা-বেনাপোলে পুরোদমে চলছে পূজার প্রস্তুতি। শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পোর্ট থানার ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে এবার ২৯টি ম-পে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। গত বছরে ২৮টি ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সরেজমিনে মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ম-পে ম-পে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। অনেক মন্দিরে রং তুলির কাজ চলছে। দেবী দুর্গার সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। আয়োজকরা বলছেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবছর বেশি মজুরি নিচ্ছেন কারিগররা। যে কারণে পূজার খরচ বেড়েছে বহুগুণ।

প্রতিমা তৈরি কারিগর লক্ষণ, সুজন দাস, কার্তিক বলেন, আমরা প্রতি বছর শার্শা উপজেলাতেই কাজ করে থাকি। এবার গত কয়েক বছরের তুলনায় ভালোভাবে পূজার প্রস্তুতি নিয়েছেন। কমিটির লোকজনের চাহিদা অনুযায়ী এবার প্রতিমার আকার ও ডিজাইনে ভিন্নতা এসেছে। বর্তমানে আমরা মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির শেষ করে রঙের কাজ করছি। সময় ঘনিয়ে আসায় রাতদিন কাজ করছি। লক্ষ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই যেন কাজ শেষ হয়। রঙের কাজ শেষ করে কমিটির লোকজনের কাছে প্রতিমা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী বৈদ্যনাথ দাস বলেন, শারদ উৎসবের মূলত তিন পর্বের। মহালয়া, বোধন ও সন্ধ্যাপূজা। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ। সাধারণত আশ্বিন মাসের প্রথমপক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পরবর্তী সময়ে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচ দিন যথাক্রমে ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে সনাতনদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব শেষ হয়। দুর্গাপূজা উপলক্ষে জাতীয় উৎসবে একটি ঐক্য ও সমন্বয়ের ধারা প্রতিষ্ঠা করতে চায় যা জাতীয় জীবনে আজ বড় প্রয়োজন। প্রতিটি পূজাম-প ও ম-পগামী সড়কগুলোয় বিশেষ করে রাতের বেলায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করারও দাবি জানান তিনি।

বেনাপোল পোর্ট থানা ও শার্শা থানার ওসি মো. রাসেল মিয়া ও আব্দুল আলিম জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা নির্বিঘেœ পালন করতে পারে সেজন্য প্রশাসনিকভাবে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন পূজা কমিটির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। গুরুত্ব অনুসারে পূজা ম-পগুলোকে কয়েকটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে সে অনুপাতে অফিসার-ফোর্স মোতায়েন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি পূজাম-প মিলে থাকবে পেট্রোল টিম। তারা ঘুরে ঘুরে পূজাম-পগুলো মনিটরিং করবে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে। পূজাম-পে নিয়মিত তল্লাশি করা হবে। সন্দেহভাজন এমন কাউকে মনে হলে প্রশাসন তল্লাশি করতে পারবে। কন্ট্রোল রুম থেকে পূজার যাবতীয় বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!