মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ১২:০৬ এএম

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি  দিচ্ছে আরও ৬ দেশ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ১২:০৬ এএম

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি  দিচ্ছে আরও ৬ দেশ

যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পর্তুগালের পর আরও ৬ দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। নিউইয়র্কে বিশ্বনেতাদের বার্ষিক সমাবেশের আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এক সম্মেলনের মাধ্যমে এ স্বীকৃতি দেওয়া হবে। সম্ভাব্য স্বীকৃতি দেওয়া ৬ দেশের মধ্যে রয়েছেÑ ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা এবং সম্ভবত নিউজিল্যান্ড ও লিশটেনস্টাইন।

এদিকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে চার প্রভাবশালী দেশের স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ। গত রোববার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ কথা বলেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

দীর্ঘমেয়াদি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে গতকাল সোমবার ফ্রান্স ও সৌদি আরবের নেতৃত্বে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে যৌথভাবে এতে সভাপতিত্ব করবেন।

গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষের মাঝে আন্তর্জাতিক ক্ষোভ সত্ত্বেও গাজায় আক্রমণ দ্বিগুণ করার পর ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে গত রোববার যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পর্তুগাল ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়।

এর আগে গত জুলাই মাসে ইউরোপজুড়ে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রচারের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পশ্চিমা দেশগুলোকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদ ‘গাজা পরিকল্পনা’ বা ‘নিউইয়র্ক ঘোষণাপত্র’ ব্যাপক ভোটে গৃহীত হয়। জুলাই মাসে ফ্রান্স এবং সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সম্মেলনে এটি প্রস্তাবিত হয়েছিল। 

ঘোষণাপত্রে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের ওপর ভিত্তি করে ‘ন্যায়সঙ্গত এবং স্থায়ী শান্তি’ প্রতিষ্ঠার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল জুলাইয়ের ওই সম্মেলন বয়কট করে এবং এই মাসের শুরুতে ঘোষণার বিরুদ্ধেও ভোট দেয়।

এদিকে জাতিসংঘ আশা প্রকাশ করেছে, এই শীর্ষ সম্মেলন ‘দুটি রাষ্ট্রের দিকে জাতিসংঘের রোডম্যাপ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় নতুন গতি সঞ্চার করতে পারে।

স্বাগত জানাল বাংলাদেশ: এ বিষয়ে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সব সময় ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি। কাজেই যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের স্বীকৃতিকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা মনে করি এটা একটা সুখবর।’ 

তৌহিদ হোসেন বলেন, চার দেশের স্বীকৃতি চূড়ান্ত স্বাধীনতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একটি পদক্ষেপ। তবে ফিলিস্তিনের জনগণকে আরও পথ পাড়ি দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের আরেক প্রভাবশালী দেশ ফ্রান্সও শিগগিরই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে জানিয়েছে। এটি হলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে চারটিরই স্বীকৃতি পাবে ফিলিস্তিন।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!