বৈধ কাগজবিহীন যানবাহন, অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা, অবৈধ পার্কিং, হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেলের চালকদের বিরুদ্ধে এবার সরাসরি রাস্তায় অ্যাকশনে নেমেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ-এসএমপি। এর পাশাপাশি অনুমোদনহীন সিএনজি-স্ট্যান্ড সরিয়ে ফেলা এবং নির্ধারিত স্থানে পার্কিং-ব্যবস্থা চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে নগরীর পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে একযোগে এ অভিযান শুরু হয়, যা চলতে থাকে সকাল ১১টা পর্যন্ত। অভিযানে অন্তত ২০টি অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা আটক করে ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়েছে। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নগরবাসী। এসএমপি জানায়, সিলেট মহানগরে সড়ক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)।
এসএমপি সূত্র মতে, একযোগে অভিযান পরিচালিত হয় নগরীর মেন্দিবাগ, নাইওরপুল, জিতু মিয়া পয়েন্ট, রিকাবীবাজার ও পাঠানটুলা এলাকায়। অভিযানের অংশ হিসেবে এসব এলাকায় পুলিশ সদস্যরা যানবাহনের বৈধতা যাচাই করেন এবং নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন এসএমপি কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী। তিনি জানান, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্ঘটনা রোধই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা আগেই মাইকিংয়ের মাধ্যমে চালকদের সচেতন করেছি। এরপরও যারা আইন মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে সিলেট মহানগর পুলিশ শহরের সড়ক শৃঙ্খলা রক্ষায় আট দফা নির্দেশনা জারি করেছিল। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ, ভুয়া বা অনুমোদনহীন নম্বরপ্লেটধারী যানবাহন চলাচল বন্ধ, অনুমোদিত স্ট্যান্ড ছাড়া পার্কিং নিষিদ্ধ, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর জন্য হেলমেট বাধ্যতামূলক।
এসএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) এবং পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই অভিযান এক দিনের নয়। এটি ধারাবাহিকভাবে চলবে। যারা আইন অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ অভিযানের খবর পেয়ে অনেক অবৈধ চালক এলাকা ছেড়ে চলে যায়, তবে অনেককে সড়কেই আটক করা হয়। নগরবাসীর একটি অংশ এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানালেও, সিএনজি ও রিকশাচালকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে।
পুলিশের এমন পদক্ষেপের ফলে নগরীতে যান চলাচলে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে কার্যকর পরিবর্তন নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত ও কঠোরভাবে পরিচালনা করার দাবি জানিয়েছেন সিলেটবাসী।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন