চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ শাহনাজ বেগম (৩৫) মারা যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত সুদের কারবারি এক নারীর ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যার পর উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের উপাদিক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বুধবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান শাহনাজ। এলাকায় তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা নাছিমা বেগমের বসতঘরে আগুন দেয়।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ, সুদের টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শাহনাজ বেগম ও নাছিমা বেগমের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই মধ্যে শাহনাজকে কয়েক দফা মারধরও করা হয়। সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে প্রতিবেশী নাছিমা বেগম (৪২) ও তার লোকজন সুদের টাকার জন্য কেরোসিন ঢেলে শাহনাজ বেগমের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনার পর পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন শাহনাজ। বুধবার দুপুরে তিনি মারা যান। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা নাছিমা বেগমের ঘরে আগুন দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শাহনাজ বেগমের স্বামী আমিনুল খান বলেন, ‘সুদের ব্যবসায়ী নাছিমা বেগমের সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরেই সুদের টাকা পরিশোধ ও স্ট্যাম্পের বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সে আমার স্ত্রীকে কয়েক দফা মেরেছে। গত শুক্রবার রাতে আমার স্ত্রীকে পেছন দিক থেকে হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কমান্ডার কামরুল ইসলাম জানান, অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানো হয়েছে। তবে উত্তেজিত জনতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, অভিযুক্ত নাছিমা বেগমের ঘরে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় করা মামলায় নাছিমাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন