- পাহাড়ধস ও বর্ষণে ভেঙে গেছে নারায়ণহাট-মীরসরাই সড়ক
- যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
- সওজ বলছে, ১০ কিমি অংশ সংস্কারের উদ্যোগ চলছে
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নারায়ণহাট-মীরসরাই সড়ক পাহাড়ধসের মাটি ও ভারি বর্ষণে ভেঙে গিয়ে বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করত, বিশেষ করে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত লেবু, সবজি ও মাছ পরিবহনের জন্য এটি ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ। কিন্তু এখন সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
গত শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের নারায়ণহাট বাজার থেকে মীরসরাই সদর পর্যন্ত পথে অসংখ্য স্থানে বড় বড় গর্ত, গভীর খাদ ও ধসে পড়া অংশ তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও পাহাড় ধসে পড়া মাটিতে কর্দমাক্ত স্তর জমে গেছে, যা দেখলে চাষের জমির মতো মনে হয়।
বিপজ্জনক স্থানগুলো চিহ্নিত করতে স্থানীয়রা নিজেরাই লাল কাপড় বেঁধে সতর্কতা তৈরি করেছেন। কিন্তু সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। ধসে পড়া স্থানে যাত্রীদের গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে পার হতে হচ্ছে, আর পণ্যবাহী যানবাহনের চালকরা পড়ছেন চরম দুর্ভোগে।
এ ছাড়া রাস্তার দুই পাশে গজিয়ে ওঠা ঘন বন-ঝোপ দৃশ্যমানতা কমিয়ে দিয়েছে, ফলে চুরি-ছিনতাইয়ের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সড়কটি বহুদিন ধরে অযতœ-অবহেলায় পড়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষের নজর পড়েনি।
অটোরিকশাচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘রাস্তা এমনিতেই সরু, তার ওপর জায়গায় জায়গায় ভেঙে গেছে। তবু দূরত্ব কম হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই চালাই।’
লেবু ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস জানান, ‘দুদিন আগে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলাম, অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। এখন ভয় নিয়েই চলাচল করি।’
স্থানীয় এনজিও কর্মকর্তা মো. রফিক বলেন, ‘বিকল্প পথ না থাকায় প্রতিদিন বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এই সড়ক ব্যবহার করি।’
সওজ চট্টগ্রাম অফিসের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারহান বলেন, ‘অতিবৃষ্টির কারণে সড়কের বেশ কয়েকটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন