এবার সেভিয়ার মাঠে খেলতে গিয়ে ধরাশায়ী হলো বার্সেলোনা। সেভিয়ার কাছে ৪-১ গোলে হারল লিগ চ্যাম্পিয়নরা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মৌসুমে প্রথম আট ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর টানা দুটি হারের তেতো স্বাদ পেল কোচ হান্সি ফ্লিকের দল। স্প্যানিশ লিগে সুযোগ ছিল রিয়াল মাদ্রিদকে টপকে লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠার। কিন্তু ম্যাচের অনেকটা সময় ধরেই বিবর্ণ ফুটবল খেলল বার্সেলোনা। পেনাল্টি মিস করে হতাশা বাড়ালেন রবার্ট লেভানদোভস্কি। উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে শিরোপাধারীদের উড়িয়ে দিল সেভিয়া।
আলেক্সিস সানচেস শুরুতে সেভিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান ইসাক রোমেরো। প্রথমার্ধেই একটি গোল শোধ করে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেন মার্কাস র্যাশফোর্ড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শেষ সময়ে দুটি গোল হজম করে বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মৌসুমে প্রথম আট ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর টানা দুটি হারের তেতো স্বাদ পেল হান্সি ফ্লিকের দল। গত বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে পিএসজির বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছিল তারা। চোটাক্রান্ত লামিনে ইয়ামাল ও রাফিনিয়াসহ আরও কয়েকজনকে ছাড়া খেলতে নামা বার্সেলোনা গোলের জন্য ১৭টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে আটটি। সেভিয়ার ১৩ শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল। ত্রয়োদশ মিনিটে সফল-স্পট কিকে সেভিয়াকে এগিয়ে নেন বার্সেলোনার সাবেক উইঙ্গার সানচেস।
রোমেরোকে বার্সেলোনার ডিফেন্ডার রোনাল্দ আরাউহো বক্সে ফেলে দিলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। বার্সেলোনার হাইলাইন রক্ষণ ভেঙে প্রথম আধা ঘণ্টায় ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ দুটি সুযোগ পান রোমেরো। কিন্তু একটি শট বাইরে মারেন তিনি, তার আরেকটি প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনি। ৩৬তম মিনিটে আর হতাশ করেননি রোমেরো। মাঝ মাঠে বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জুল কুন্দে বলের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর তাদের হাইলাইন রক্ষণের ফাঁক গলে আক্রমণে ওঠে সেভিয়া। বাঁ দিক থেকে রুবেন ভার্গাসের পাস বক্সে পেয়ে প্রথম স্পর্শে শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ২৫ বছর বয়সি স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড রোমেরো। প্রথমার্ধে নিজেদের হারিয়ে খোঁজা বার্সেলোনা প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় ৪২তম মিনিটে। পাউ কুবার্সির পাস ধরে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষক বরাবর শট করেন র্যাশফোর্ড। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে চমৎকার ফিনিশিংয়ে ব্যবধান কমান র্যাশফোর্ড।
ডান দিক থেকে পেদ্রির ক্রস দূরের পোস্টে পেয়ে হাফ ভলিতে জালে পাঠান ইংলিশ ফরোয়ার্ড। লা লিগায় র্যাশফোর্ডের প্রথম গোল এটি। দ্বিতীয়ার্ধে সেভিয়ার চেয়ে ভালো খেলে বার্সেলোনা। ৬২তম মিনিটে পেদ্রির শট দারুণ নৈপুণ্যে ফিরিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর কর্নারে এরিক গার্সিয়ার হেডও ঠেকান তিনি।
৭৩তম মিনিটে আলেহান্দ্রো বাল্দে বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু স্পট কিক বাইরে মেরে হতাশ করেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার লেভানদোভস্কি। এরপরই যেন ছন্দে কেটে যায় বার্সেলোনার। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ডান পায়ের শটে তাদের জালে বল পাঠিয়ে সেভিয়ার জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন হোসে আনহেল কারমোনা। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে সফরকারীদের কফিনে চতুর্থ পেরেক ঠুকে দেন অ্যাকর অ্যাডামস।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন