জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘দেশের জেলা ও উপজেলা প্রেসক্লাবকে পর্যায়ক্রমে জাতীয় প্রেসক্লাবের আমব্রেলার নিচে আনা হবে।’
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) যশোরের চৌগাছা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ দিন বিকেল ৩টায় প্রেসক্লাব চৌগাছার নবনির্মিত ভবনের লাউঞ্জে আইয়ূব ভুঁইয়াকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ সময় তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার স্বৈরাচারী সরকার গণমাধ্যমকে ভয়ানকভাবে ব্যবহার করেছিল। গণমাধ্যমকে হাসিনা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। আর বিদেশিদের দেখানো হয়েছে, এখানে হাজারেরও বেশি গণমাধ্যম আছে।’ বিগত ১৬ বছর গণমাধ্যমকে নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রকৃত সাংবাদিকতা জাদুঘরে পাঠানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আইয়ুব ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘গণমাধ্যম বিগত সময়ে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উপস্থাপন করতে পারেনি। ডিজিএফআই, এনএসআই, ডিবির কলে নিউজ ব্রেক করা হয়েছে।’ তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাংবাদিকতায় দলীয় লেজুড়বৃত্তি পরিহার করতে হবে। দলীয় লেজুড়বৃত্তি সাংবাদিকতা দেশ ও জাতির কল্যাণে আসে না।’ সাংবাদিকদের দলীয় লেজুড়বৃত্তিতে কাজে না লাগানোর জন্য উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের এই নেতা বলেন, সাংবাদিকতা করতে হবে দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য। অর্থনৈতিক গুরুত্ব বহন করে এমন সংবাদ বেশি বেশি করে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। সব পেশার মানুষই জনগণের সেবা করছে। কিন্তু সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশের মানুষকে সেবা দেওয়ার ধরনটা একটু ভিন্ন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সমাজের ঘটে যাওয়া অসংখ্য অসংগতি তুলে ধরে সমাজকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে এই মফস্বল সাংবাদিকরা। মফস্বলের সাংবাদিকতা বরাবরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সাংবাদিকদের সুরক্ষায় জাতীয় প্রেসক্লাব কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রেসক্লাবকে জাতীয় প্রেসক্লাবের আমব্রেলার নিচে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাব। প্রথমে বিভাগীয় প্রেসক্লাব, এরপর জেলা ও উপজেলা প্রেসক্লাবকে পর্যায়ক্রমে জাতীয় প্রেসক্লাবের আমব্রেলার নিচে আনার পরিকল্পনা রয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির।
প্রেসক্লাব চৌগাছার সভাপতি অধ্যক্ষ আবু জাফরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলামিস্ট ফরম অব বাংলাদেশের মহাসচিব জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য আব্দুল আলিম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও যশোর জেলা বিএনপির সদস্য জহুরুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সহকারী অধ্যাপক নূরুজ্জামান আল মামুন, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি সাবেক প্যানেল মেয়র মাস্টার কামাল আহমেদ, প্রেসক্লাব চৌগাছার জেষ্ঠ সহসভাপতি রহিদুল খান, সহকারী অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেন, প্রেসক্লাব চৌগাছার যুগ্ম সম্পাদক এমএ রহিম এবং বাবুল আক্তার।
এ সময় প্রেসক্লাব চৌগাছার সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন