বরগুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সড়ক অবরোধ ও বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান রাসেল, যুগ্ম-আহ্বায়ক পারভেজ খান, মাদক ও চুরির ১১ মামলার আসামি আমতলী পৌর যুবলীগের সদস্য তন্ময় গাজী, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য কাওছার আহমেদ রনি ও সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী কাওছার আহমেদ রনি।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার দিন ধার্য থাকায় বরগুনায় বৃহস্পতিবার রাতেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রাত ৮ টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সবুজ মোল্লার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
এরপর রাত ১টার দিকে আমতলীতে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের লকডাউনের প্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর বিভিন্ন স্থানে সড়কে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ চালানো হয়েছে। ঢাকা-বরগুনা মহাসড়কে গাছের উপর ক্রসিং বসিয়ে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করা হয়।
এছাড়া রাতে প্রেট্রোলবোমার মাধ্যমে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগুন লাগানো ভিডিও ছড়িয়ে দেন।
বরগুনা সদর থানা পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াকুব হোসাইন বলেন, ‘রাতভর অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন