চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ব্রেইল পদ্ধতি না থাকায় শ্রুতিলেখকের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীরা। তবে এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল ব্যালটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে দৃষ্টিহীন ভোটারের সংখ্যা ৮০। তাদের জন্য ব্রেইল ব্যালটের ব্যবস্থা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনে দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা পর। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। ব্রেইল ভোটের ব্যবস্থা না থাকায় দুই নির্বাচন কমিশনারের তত্ত্বাবধানে শ্রুতিলেখকের সহায়তায় ভোট দেন দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীরা। অন্যের সহযোগিতায় ভোট দেওয়ায় তাদের মতামত গোপন থাকছে না বলেও অভিযোগ করেন তারা।
রাজনীতি বিজ্ঞানবিভাগের শিক্ষার্থী ও বিজয়-২৪ হল সংসদের নির্বাহী সদস্য প্রার্থী আয়শা আক্তার বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই ব্রেইল ভোটের দাবি জানিয়েছিলাম। প্রশাসন আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে আমাদের অন্যের সহায়তায় ভোট দিতে হয়েছে।’
একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী তাফবির হোসেন বলেন, ‘আমরা সকাল ৯টা থেকে অপেক্ষা করছিলাম। পরে জানানো হয়, বেলা ১১টা থেকে ভোট দিতে পারব। এভাবে ভোট দিলে তো আমাদের ভোট গোপন থাকে না। আমরা ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখাপড়া করি, তাই সেই পদ্ধতিতেই ভোট দিতে পারলে ভালো হতো।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, আমরা ব্রেইল ভোটের জন্য একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছিলাম, কিন্তু তারা অপারগতা প্রকাশ করেছে। তাই ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট নিতে পারিনি। ফলে আমাদের বিকল্প প্রক্রিয়ায় তাদের ভোট নিতে হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন