নির্বাচিত সরকারই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দুদু বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকার নয়, নির্বাচিত সরকারই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিতে পারে। যদি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে স্বৈরতন্ত্রের পতনের মধ্য দিয়ে মানুষের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার যে অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছিল, তা কোনো না কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। মানুষ হতাশ হয়ে পড়বে। তাই আজ যারা সরকারে আছেন, তাদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্বাচন পরিচালনায় নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো বিশেষ দলের প্রভাবে যেন নির্বাচন পরিচালনা, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) বা নির্বাচন-সম্পর্কিত কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রভাবিত না হয়। যদি তা হয়, তবে দেশের গণতন্ত্র আশাহত হবে এবং মানুষ নিরাশ হবে। ’
মিরপুরে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকা-ে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘দেশ এখন কার্যত নানা বিপদের মধ্যে রয়েছে। যারা কাজকর্মে বের হন, তারা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সরকার কিসের জন্য? সরকারের দায়িত্ব হলো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। রাস্তাঘাটে বের হলে মানুষ অনিরাপদ বোধ করছে। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি ও অনুরোধ করছিÑ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’ এ সময় শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল শেখ মুজিব।
’৭৩-৭৫-এর কথা স্মরণ করলে দেখবেন শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্র-স্বাধীনতার কথা বলে তিন বছরে বাকশাল গঠন করেছিলেন, রক্ষী বাহিনী গঠন করে বিরোধী দলের প্রায় ৪০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। গত ১৫-১৬ বছর মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষকে খুন করেছে শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য। এই পরিবার আগাগোড়া খুনি, গণহত্যাকারী এবং লুটপাটকারী। তাদের বিচার অবশ্যই দৃশ্যমান হতে হবে। এই খুনিদের কোনোভাবে পুনর্বাসন করা যাবে না।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন