উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ফল লাভ করতে না পেরে নুসরাত জাহান নাসরিন নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৮ বছর বয়সি এই শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার সকালে অকৃতকার্য হওয়ার খবর পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং তিনি অভিমানে বাংলাবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাশর্^বর্তী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
বরগুনার আমতলীর বাসিন্দা বশির মৃধার মেয়ে নুসরাত তার বড় বোন নাজনীন আক্তারের ভাড়া বাসায় থেকে মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা করেন। নাজনীন আক্তার শহরের বান্দ রোড-সংলগ্ন রাহাত আনোয়ার হাসপাতালের নার্স বলে জানা গেছে।
পরিবার ও সহপাঠীদের বরাত দিয়ে কোতয়ালি পুলিশ জানিয়েছে, নুসরাত অত্যন্ত মেধাবী এবং পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলেন। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফল অনুযায়ী তিনি ম্যাথ বিষয়ে অকৃতকার্য হন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তিনি একাকী বাসায় অবস্থান করছিলেন এবং তিনি অভিমান করে বাসার ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে জর”রি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক আশিষ কুমার সাহা তার মৃত্যু ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থীর এই আকস্মিক মৃত্যু ঘিরে সহপাঠীসহ বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে শোক বিরাজ করছে।
তবে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে অভিমানে প্রাণ বিসর্জনের পথ বেছে নেওয়াকে ভুল সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী। তিনি জানান, নুসরাত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন, ম্যাথ বিষয়ে তিনি অকৃতকার্য হয়েছেন। এতে অভিমান করে প্রাণবিয়োগের সিদ্ধান্তে যাওয়া উচিত হয়নি। বরং পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করতে পারতেন।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন আইচ রূপালী বাংলাদেশকে জানান, শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন